৪৫টি ইস্তেগফার ও প্রয়োজনীয় দোয়া

 ফি আমানিল্লাহ মানে কি- ফি আমানিল্লাহ কখন পড়বেনআসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ। আশা করি সবাই ভাল আছেন। দৈনন্দিন জীবনে মুসলমান হিসেবে আমাদের কিছু আমল করা উচিত। সেই আমল গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি হলো ইস্তেগফার। এছাড়াও আমাদের নিজের জন্য আমাদের বংশধরদের জন্য এবং পরকালীন জীবনের শোকর শান্তির জন্য কিছু দোয়ার প্রয়োজন। 
৪৫টি ইস্তেগফার ও প্রয়োজনীয় দোয়া
আপনি হয়তো জানেন না আপনার দৈনন্দিন জীবনে একজন মুসলমান হিসেবে কোন দোয়াগুলো পড়া উচিত। সমস্যার সমাধান নিয়ে হাজির হয়েছি আমরা। আপনি যদি আমাদের এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ করেন তাহলে আপনার দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োজন সকল দুয়ার সম্পর্কে জানতে পারবেন। যার ফলে আপনার ইহকালীন ও পরকালীন জীবনের জন্য অনেক ফলপ্রস হবে। তাহলে আর দেরি না করে চলুন শুরু করা যাক।

গুনাহ মাফের দোয়া। ৪৫টি ইস্তেগফার ও প্রয়োজনীয় দোয়া 

১। আপনি যদি অনিচ্ছাবশত কোন গুনাহ করে থাকেন তাহলে গুনাহের জন্য আপনি এই ইস্তেগফার পড়ে দোয়া পড়তে পারেন

رَبِّ إِنِّيْ ظَلَمْتُ نَفْسِيْ فَاغْفِرْ لِيْ
রাব্বি ইন্নি জলামতু নাফসি ফাগফিরলি

অর্থ: (হে আমার) রব! নিশ্চয়ই আমি নিজের উপর জুলুম করে ফেলেছি। অতএব, আপনি আমাকে ক্ষমা করুন। [সুরা ক্বাসাস, আয়াত: ১৬]

২। আপনি যদি মহান দয়ালু ও আল্লাহ তাআলার কাছে রহমত পেতে চান তাহলে এই দোয়া পাঠ করুন

رَبِّ اغْفِرْ وَارْحَمْ وَأَنْتَ خَيْرُ الرَّاحِمِيْنَ
রাব্বিগ ফির অরহাম ওয়া আনতা খইরুর রহিমিন।

‘‘হে আমার রব! (আমাকে) মাফ করুন এবং (আমার উপর) রহম করুন; আপনিই তো সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু।’’ [সুরা আল মুমিনুন, আয়াত: ১১৮]

৩। আপনি যদি মহান আল্লাহ অসীম দয়ালু মাবুদের কাছে আপনার দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যানের জন্য দোয়া করতে চান তাহলে আপনি এই দোয়াটি নিয়মিত পাঠ করুন

رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الْآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ
উচ্চারনঃ “রব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া হাসানাহ ওয়া ফিল আখিরতি হাসানাহ ওয়া কিনা আজাবান্নার”

অর্থ: ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে ইহকালে কল্যাণ দান কর এবং পরকালেও কল্যাণ দান কর। আর আমাদেরকে আগুনের-যন্ত্রণা থেকে রক্ষা কর।’(সুরা বাকারা- আয়াত ২০১)

৪। আপনি হিদায়াত পাওয়ার পর যদি আপনার অন্তরের বক্রতা হতে মুক্তি পেতে চান তাহলে এই দোয়া পাঠ করুন -

رَبَّنَا لاَ تُزِغْ قُلُوبَنَا بَعْدَ إِذْ هَدَيْتَنَا وَهَبْ لَنَا مِن لَّدُنكَ رَحْمَةً إِنَّكَ أَنتَ الْوَهَّابُ
উচ্চারনঃ রব্বানা-লা-তুযিগ্ কুলূবানা- বা’দা ইয্ হাদাইতানা-ওয়া হাবলানা-মিল্ লাদুন্কা রহমাহ , ইন্নাকা আন্তাল্ ওয়াহ্হা-ব্
অর্থঃ হে আমাদের রব, আপনি হিদায়াত দেয়ার পর আমাদের অন্তরসমূহ বক্র করবেন না এবং আপনার পক্ষ থেকে আমাদেরকে রহমত দান করুন। (সুরা আল ইমরানঃ আয়াত ৮)

৫। দেখতে এবং পড়তে খুব ছোট্ট কিন্তু গুণে ও মানে অনেক গুরুত্বপূর্ণ এই দোয়াটি আপনি পড়তে পারেন

‎اَللَّهُمَّ ﺇِﻧِّﻰ ﺃﺳْﺄَﻟُﻚَ ﺍﻟْﻌَﺎﻓِﻴَﺔَ

অর্থ:- "ওহ! আল্লাহ, আমি পরিত্রাণ চাই মর্মপীড়া, বিষাদ, কষ্ট, ক্ষতি থেকে; আমাকে পরীক্ষা করো না" তিরমিযী হাদিস নং: ৩৫১৪।

৬। আপনি যদি ইচ্ছাকৃত ভাবে কোন গুনাহ করে থাকেন এবং সেই গুনাহ করার পরে যদি আপনার মনে অনুশোচনা আসে তাহলে সে গুনাহের জন্য আপনি এই দোয়াটি পাঠ করুন-

رَبَّنَا ظَلَمْنَا أَنفُسَنَا وَإِن لَّمْ تَغْفِرْ لَنَا وَتَرْحَمْنَا لَنَكُونَنَّ مِنَ الْخَاسِرِينَ
উচ্চারণ:-রব্বানা- যলামনা- আনফুসানা- ওয়া ইল্লাম তাগফিরলানা- ওয়া তারহামনা- লানা কু-নান্না মিনাল খসিরী-ন

অর্থ:- হে আমাদের পালনকর্তা আমরা নিজেদের প্রতি জুলম করেছি। যদি আপনি আমাদেরকে ক্ষমা না করেন এবং আমাদের প্রতি অনুগ্রহ না করেন, তবে আমরা অবশ্যই অবশ্যই ধ্বংস হয়ে যাব। (সুরা আরাফঃ ২৩)

৭। আপনি মহা বিপদে পড়ে গেছেন কিন্তু আপনাকে সাহায্য করার কেউ নেই এমত অবস্থায় আপনি মহান ও অসীম দয়ালু আল্লাহ তাআলার কাছে সাহায্যের জন্য ছোট্ট এই দোয়াটি পাঠ করতে পারেন। আপনি যদি কাজ দিলে পাঠ করে আল্লাহর কাছে সাহায্য কামনা করেন তাহলে মহান রাব্বুল আলামিন আপনাকে সাহায্য করবেন।

رَبَّنَا أَفْرِغْ عَلَيْنَا صَبْرًا وَتَوَفَّنَا مُسْلِمِينَ
উচ্চারণ:- রব্বানা- আফরিগ 'আলাইনা সবরাও ওয়া তাওয়াফফানা মুসলিমী-ন]

অর্থ:- হে আমাদের পরওয়ারদেগার আমাদের জন্য ধৈর্য্যের দ্বার খুলে দাও

এবং আমাদেরকে মুসলমান হিসাবে মৃত্যু দান কর- (সুরা আরাফঃ ১২৬)

৮। আপনি হঠাৎ কোন কিছু নিয়ে ভুল ত্রুটি করেছেন এবং এখন আপনি সেই ভুল ত্রুটি তে চাচ্ছি সেজন্য আপনি এই দোয়াটি পড়ুন-

رَ‌بَّنَا لَا تُؤَاخِذْنَا إِن نَّسِينَا أَوْ أَخْطَأْنَا
উচ্চারণ:- রব্বানা লা তুওয়াখিজনা ইন নাসি-না আও আখ ত্ব-না]

অর্থ:- হে আমাদের পালনকর্তা, যদি আমরা ভুলে যাই কিংবা ভুল করি, তবে আমাদেরকে অপরাধী করো না (সুরা বাকারাঃ ২৮৬)

৯। আপনি যদি সুন্দর মৃত্যু লাভ করতে চান তাহলে এস্তেগফারটি নিয়মিত করুন -

اَللَّهُمَّ إِنِّيْ أَسْأَلُكَ حُسْنَ الْخَاتِمَةِ.
উচ্চারনঃ আল্লহুম্মা ইন্নি আসআলুকা হুসনাল খ-তিমাহ

অর্থ: হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে উত্তম মৃত্যু চাই।

১০। আপনার পিতা মাতা সুন্দর এ ভুবনের মায়া ত্যাগ করে পরলোক গমন করেছেন। এখন আপনি আপনার সেই পরলোক গমন করে পিতা-মাতার জন্য মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে দোয়া করতে চাচ্ছেন তাহলে আপনি খাস দিলে মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে আপনার পিতা মাতার জন্য পানা চাইতে এই দোয়াটি পড়ুন-

رَّبِّ ارْحَمْهُمَا كَمَا رَبَّيَانِي صَغِيرًا
উচ্চারণঃ রব্বীর হাম্হুমা-কামা-রব্বাইয়া-নী সগী-রা-

অর্থ :হে আমার রব, তাদের প্রতি দয়া করুন যেভাবে শৈশবে তারা আমাকে লালন-পালন করেছেন (সূরা আল-ইসরা- আয়াত ২৪)

নিজের এবং আপনার বংশধরদের সালাত কায়েমকারী হওয়ার জন্য এই দোয়া

১১। আপনি যদি নিজে নামাজ না হন এবং আপনার বংশধরেরাও নিয়মিত নামাজ পড়ে না তাহলে আপনার নিজের এবং আপনার বংশধরদের সালাত কায়েমকারী হওয়ার জন্য এই দোয়াটি পড়ুন-

رَبِّ اجۡعَلۡنِیۡ مُقِیۡمَ الصَّلٰوۃِ وَ مِنۡ ذُرِّیَّتِیۡ ٭ۖ رَبَّنَا وَ تَقَبَّلۡ دُعَآءِ
উচ্চারণ:- রব্বিজ আলনি মুকিমাস সলাতি ওয়ামিন যুররিইয়াতি রব্বানা ওয়া তাকব্বাল দুয়া-

অর্থ:- হে আমার রব! আমাকে তোমার একজন কর, যারা নিয়মিত সালাত কায়েম করে এবং আমার বংশধরদের মধ্যে থেকেও। হে আমার প্রভু তুমি আমার প্রার্থনা গ্রহণ করো। (সূরা ইব্রাহীম আয়াত ৪০)

১২। আমাদের মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ সমগ্র মুসলিম জাতির জন্য দোয়া করতেন এবং তাদের উম্মতদেরকে প্রচন্ড পরিমাণ ভালোবাসতেন সেই জন্য তিনি সদা সর্বদা তার উম্মতের জন্য দোয়া করতেন। আপনি যদি সমগ্র মুসলিম উম্মতের জন্য দোয়া করতে চান তাহলে এই দোয়াটি পড়ে দোয়া করুন ।
رَبَّنَا اغۡفِرۡ لِیۡ وَلِوَالِدَیَّ وَلِلۡمُؤۡمِنِیۡنَ یَوۡمَ یَقُوۡمُ الۡحِسَابُ 
উচ্চারণ: রব্বানাগফিরলি ওয়ালিওয়া লিদাইয়্যা ওয়া-লিলমুমিনীনা ইয়াওমা ইয়া কু-মুল হিসা-ব্।

অর্থ:- হে আমাদের রব, যেদিন হিসাব কায়েম হবে, সেই দিন আপনি আমাকে, আমার পিতা মাতাকে ও মুসলিমদেরকে ক্ষমা করে দিবেন। (সূরা ইব্রাহীম আয়াত ৪১)
১৩। আপনি যদি মহান পরক্রমশালী ও অসীম দয়ালু আল্লাহ তাআলার মনোনীত দিনের ওপর অটুট থাকতে চান তাহলে আপনি এই দোয়াটি আমল করতে পারেন।

উচ্চারণ:- আল্লাহুম্মা ইয়া মুক্বাল্লিবাল কবুলুব, ছাব্বিত ক্বলবী আ'লা দ্বীনিক।

অর্থ:- হে আল্লাহ! হে হৃদয়ের পরিবর্তনকারী! আপনি আমার হৃদয়-কে আপনার দ্বীনের উপর প্রতিষ্ঠিত রাখুন।

১৪। আপনি যদি চান আপনার মৃত্যুর আগে আপনার তকদিরে তওবা নসিব হোক তাহলে আপনি এই দোয়াটি আমল করুন। এবং মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে দোয়া প্রার্থনা করুন।

উচ্চারণ:- আল্লাহুম্মারঝুক্বনি তওবাতান্নাসু-হাহ, ক্ববলাল মাউত।

অর্থ: হে আল্লাহ ! আপনি আমাকে মৃত্যুর পূর্বে খাঁটি দিলে তওবা করার সুযোগ করে দিবেন।

১৫। পৃথিবীতে যদি মারাত্মক ধরনের সকল মহামারী রোগব্যাধি ছড়ায় এবং আপনি যদি সে সকল মহামারি মারাত্মক রোগব্যাধি থেকে রক্ষা পেতে চান তাহলে আপনি এই দোয়াটি আমল করুন এবং আল্লাহ তাআলার কাছে পানা চান।

উচ্চারণ:- আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল বারসি , ওয়াল জুযামি , ওয়া মিন সায়্যিইল আসকম।

অর্থ:-হে আল্লাহ ! আমি আপনার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি পাগলামী , কুষ্ঠ রোগ , শ্বেত রোগ এবং প্রতি মন্দ রোগ ব্যাধি হতে। (সুনানে আল-নাসায়ী, হাদিস নং ৫৪৯৩)

১৬। আপনি যদি মহান সৃষ্টিকর্তা ও সর্বশক্তিমান আলহু তায়ালার কাছে হেদায়েত ও তাকওয়া চান তাহলে নিয়মিত এই আয়াতটি আমল করুন এবং আল্লাহ তায়ালার কাছে প্রার্থনা করুন।
اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ الْهُدَى وَالتُّقَى وَالْعَفَافَ وَالْغِنَى
উচ্চারণ:- আল্লাহুম্মা ইন্নি আস-আলুকাল হুদা ওয়াত-তুকা ওয়াল আ'ফাফা ওয়াল গিনা।

অর্থ:-হে আল্লাহ আমি তোমার কাছে হেদায়েত, তাকওয়া ,সুস্থতা ও সম্পদ প্রার্থনা করছি-
(সুনানে আত-তিরমিজি: ৩৪৮৯)

১৭। আপনি যদি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজী হন তাহলে আপনি দুই সিজদার মাঝখানে এই দোয়াটি তেলাওয়াত তেলাওয়াত করতে পারেন কারণ এই তলার মধ্যে আপনার সকল কিছু চাওয়া রয়েছে। কোথায় আপনি নিয়মিত দুই সিজদার মাঝের বৈঠকে এই দোয়াটি পাঠ করতে পারেন।

উচ্চারণ:- আল্লাহুম্মাগফিরলী , ওয়ারহামনী, ওয়াহ্হদিনী, ওয়া আ-ফিনী , ওয়ারযুক্বনী।

অর্থ:- হে আল্লাহ! আমাকে ক্ষমা করো, দয়া কর, পথ দেখাও, নিরাপত্তা দাও এবং জীবিকা দান করো। (আবু দাউদ: ৮৫০)

১৮। আপনি যদি পৃথিবী নামক শস্য খেতে একজন উত্তম স্বামী বা স্ত্রী এবং সন্তান পেতে চান তাহলে আপনি নিম্নোক্ত দোয়াটি আমল করুন এবং আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করুন যেন তিনি আপনাকে একজন উত্তম স্বামী বা স্ত্রী এবং সন্তান দান করে।

উচ্চারণ:- রব্বানা-হাবলানা-মিন আয্ওয়া-জ্বিন্না- ওয়া যুররিইয়্যা-তিনা-কুররতা আ'ইয়ুনিও ওয়া জ'আল্ না-লিল মুত্তাকি-না ইমা-মা

অর্থ:-হে আমাদের রব আপনি আমাদেরকে এমন স্ত্রী বা স্বামী ও সন্তানাদি দান করুন যারা আমাদের চক্ষু শীতল করবে। আর আপনি আমাদেরকে মুত্তাকিন নেতা বানিয়ে দিন। (সূরা আল ফুরকান আয়াত ৭৪)

১৯। আপনি যদি যেকোনো ধরনের বিপদে পড়েন তাহলে সে সকল বিপদ থেকে মুক্তির জন্য মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে এই দোয়াটি পাঠ করে প্রার্থনা করুন।

উচ্চারণ:- লা ইলাহা ইল্লা আংতা, সুবহানাকা ইন্নি কুংতু মিনাজ জালিমিন।

অর্থ:- তুমি ব্যতীত সত্য কোন উপাস্য নেই; তুমি পুতঃপবিত্র , নিশ্চয়ই আমি জালিমদের দলভুক্ত। ( আম্বিয়া ৮৭)

জ্ঞান স্মরণশক্তি এবং এলমা বৃদ্ধির দোয়া।৪৫টি ইস্তেগফার ও প্রয়োজনীয় দোয়া 

২০। আপনি যদি আপনর জ্ঞান স্মরণশক্তি এবং এলমা বৃদ্ধি করতে চান তাহলে আপনি নিয়মিত এই দোয়াটি পড়ুন এবং আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করুন যেন তিনি আপনার স্মরণশক্তি এবং জ্ঞান বৃদ্ধি করে দেন।

উচ্চারণ:- রব্বি ঝিদনী 'ইলমা

অর্থ:- হে প্রভু ! আমার জ্ঞান বৃদ্ধি করে দাও।  (সূরা ত্বা_হা ১১৪)

২১। আমরা সবাই জানি যে মৃত্যুর পরবর্তী দিনে হাশরের ময়দানে মহান রাব্বুল আলামিন আমাদের সকলের নিকট থেকে ভালো-মন্দ সকল কাজের হিসাব গ্রহণ করবেন। আপনি যদি সেই মহা বিপদের দিনে আপনার হিসাব যেন মহান রাব্বুল আলামিন সহজ করে দেন সেজন্য আপনার নিয়মিত এই দোয়াটি আমল করুন।

উচ্চারণ:- আল্লাহুম্মা হা-সিবনি হিসাবাই ইয়াসী-রা।

অর্থ:-হে আল্লাহ ! আমার নিকট থেকে সহজ হিসাব নিও।
২২। একজন মুসলমান হিসেবে প্রত্যেক ফরজ সালাতের উপরে আপনার অবশ্যই এই দোয়াটি পাঠ করা উচিত।

উচ্চারণ:- আল্লাহুম্মা আনতাস সালামু ওয়া মিনকাস সালামু তাবারকতা ইয়া জাল জালালি ওয়াল ইকরাম।

অর্থ:- হে আল্লাহ তুমি শান্তির প্রতীক্ষ তুমি শান্তিময় এবং শান্তির ধারা তোমার হতেই প্রবাহিত। তুমি বরকতময় হে প্রতাপ ও সম্মানের অধিকারী। (মিশকাত শরীফ হাদিস নং ৮৯৯)

২৩। আমাদের মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ প্রত্যেকটি উম্মতকে ফরজ সালাতের পরে নিম্নোক্ত এই দোয়াটি পড়ার জন্য ওছিয়ত করে গিয়েছে। তাই আমাদের সকলেরই একজন ধর্মপ্রাণ মুসলমান হিসেবে এবং মহানবী সাঃ এর মহব্বতে ও তার নির্দেশে এই হে দোয়াটি আমল করা উচিত।

উচ্চারণ:-আল্লাহুম্মা আ'ইন্নি আলা জিকরিকা ওয়া শুকরিকা ওয়া হুসনি ইবাদাতিকা।

অর্থ:- হে আল্লাহ ! তুমি আমাকে সাহায্য করো, যেন আমি তোমার শুকরিয়া আদায় করতে পারি এবং ভালোভাবে তোমার ইবাদত করতে পারি।

২৪। আমাদের পবিত্র কিতাব আল কুরআনে জান্নাত এবং জাহান্নামের উল্লেখ রয়েছে। আরো বলা আছে যে খারাপ কাজ করবে তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে এবং যে ভালো কাজ করবে তাকে জান্নাতে রাখা হবে। জাহান্নাম হলো খুবই কষ্টের জায়গা অপরদিকে জান্নাত হলো পরম সুখ শান্তির স্থান ।যেখানে রোগ ও বার্ধক্যে বলে কিছু নেই। সেখানে রয়েছে অবিরাম শান্তি আর শান্তি। আপনি যদি এই জাহান্নামের ভয়াবহ তা থেকে বাঁচতে চান এবং জাহান্নামে যেতে চান তাহলে এই আমলটি করুন।

উচ্চারণ:- আল্লা-হুম্মা ইন্নি আসআলুকাল জান্নাতা আ'উজুবিকা মিনান্নার।

অর্থ:- হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে জান্নাত চাই এবং জাহান্নাম থেকে আপনার কাছে আশ্রয় চাই।
(আবু দাউদ -৭৯২)
২৫। আপনি যদি চান আপনার একজন সৎ ও কর্মপরায়ণ সম্পন্ন হোক তাহলে আপনি এই দোয়াটি পড়ে আমল করুন এবং আল্লাহর কাছে উত্তম সন্তান চান।

উচ্চারণ:- রব্বি হাবলি মিনাস সলিহী-ন।

অর্থ:- হে আমার রব ! আমাকে সৎ ও কর্ম পরাণ সন্তান দান করুন।(সূরা সাফফাত, আয়াত ১০০)

২৬। একজন মুসলমানের প্রতি বছর যে বিশেষ কয়েকটি রাত রয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে উত্তম একটি রাত্রি হল লাইলাতুল কদরের রাত। মহান আল্লাহ তা'আল এই রাত্রিটি রমজান মাসের শেষ দশভাগের মধ্যে যেকোনো একটি বিজোর রাত্রিতে দিয়ে থাকেন। এই শবে কদরের রাত্রে যদি আপনি মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের কাছে ক্ষমা পেতে চান তাহলে নিম্নোক্ত দোয়াটি পড়ে আল্লাহ তাআলার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন ।

উচ্চারণ:- আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউন তুহিব্বুল্ আফওয়া ফা'ফু আন্নী।

অর্থ:- হে আল্লাহ! তুমি ক্ষমাশীল। তুমি ক্ষমা করতে পছন্দ কর, তুমি আমাকে ক্ষমা করো। (আহমদ)

২৭। আমরা মানুষ মানে প্রতিনিয়ত গুনা বলতে প্রায় লিপ্তই থাকি। এ সকল গুনাহ থেকে মাফ চাওয়ার জন্য মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে আমরা এই দোয়াটি করতে পারি।

উচ্চারণ:- রব্বানা ইন্নানা আমান্না ফাগফিরলানা জুনু-বানা ওয়াকিনা আযাবানা নার।

অর্থ:- হে আমাদের পালনকর্তা, আমরা ঈমান এনেছি, কাজেই আমাদের গুনাহ হওয়া ক্ষমা করে দাও আর আমাদেরকে দোযখের আজাব থেকে রক্ষা করো। (সূরা আল ইমরান: ১৬)

২৮। আপনি যদি পরকাল সে জাহান্নামের ভয়াবহতা থেকে বাঁচতে চান তাহলে এই দোয়াটি পড়ে আল্লাহর কাছে জাহান্নামের আজাব থেকে রক্ষা করার জন্য প্রার্থনা করুন।

উচ্চারণ:- রব্বানাসরিফ 'আন্না 'আযাবা জাহান্নামা ; ইন্না আজাবাহা কা-না গরা-মা।

অর্থ:- হে আমাদের রব! জাহান্নামের আজাব থেকে আমাদেরকে বাঁচাও, তার আজাব তো সর্বনাশা।( সূরা ফুরকান: ৬৫)

২৯। আপনি যদি মহান আল্লাহ তায়ালা পরাক্রমশালী ও অসীমদয়ালু আল্লাহ তাআলার দয়া পেতে চান তাহলে এই দোয়াটি পড়ুন।

উচ্চারণ:-রব্বানা আ_মান্না ফাগফিরলানা ওয়ারহমনা ওয়া আনতা খইরুর রহিমী-ন।

অর্থ:- হে আমাদের পালনকর্তা ! আমরা বিশ্বাস স্থাপন করছি। অতএব তুমি আমাদেরকে ক্ষমা কর ও আমাদের প্রতি রহম কর। তুমিতো দয়ালুদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ দয়ালু। (সূরা মুমিনুন ১০৯)

রোগ থেকে মুক্তির দোয়া।৪৫টি ইস্তেগফার ও প্রয়োজনীয় দোয়া 

৩০। আপনি যদি রোগ থেকে মুক্তি পেতে চান এবং সুস্থ থাকতে চান তাহলে এই দোয়াটি আমল করুন এবং আল্লাহ তাআলার কাছে সুস্থতা প্রার্থনা করুন।

উচ্চারণ:- রাব্বি আন্নি মাসসানিয়ায জুররু ওয়া আনতা আরহামুর রাহিমীন।

অর্থ:- হে আমার প্রভু! আমি দুঃখে কষ্টে পতিত হয়েছে, তুমিই তো দয়ালুদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ দয়ালু। (সূরা আম্বিয়া: ৮৩)

৩১। আপনি যদি চান আপনার আমলটি মহান রাব্বুল আলামিন কবুল করুক তাহলে আপনি এই দোয়াটি পড়ুন।

উচ্চারণ:- রব্বানা তাকাব্বাল মিন্না ইন্নাকা আন্তাস সামিউল আলিম।

অর্থ:-হে আমাদের রব! আমাদের থেকে (আমল) কবুল করো। নিশ্চয়ই তুমি শ্রবণকারী, সর্বজ্ঞ। (সূরা বাকারা: ১২৭)

৩২। মানুষ মাত্রই তার দোষ যদি থাকতে পারে। আপনি যদি আপনার দোষ ত্রুটিগুলো দূর করতে চান তাহলে আপনি মহান রব্বুল আলামীনের কাছে এই দোয়াটি পড়ে প্রার্থনা করতে পারেন।

উচ্চারণ:- রব্বানা ফাগফিরিলানা জুনুবানা ওয়া কাফফির আন্না সাইয়্যি আতিনা ওয়া তাওয়াফফানা মা'আল আবরার।
অর্থ:- হে হে আমাদের পালনকর্তা ! অতঃপর আমাদের সকল গুনাহ মাফ কর এবং আমাদের সকল ত্রুটি দূর করে দাও, আর আমাদের মৃত্যু দাও নেক লোকদের সাথে। (সূরা আল ইমরান: 193)

৩৩। মহান রাব্বুল আলামিন জান্নাত ও জাহান্নাম সৃষ্টি করেছেন। আপনি যদি চান এই পৃথিবী থেকেই জান্নাতের গৃহ নির্মাণ করতে তাহলে এই দোয়াটি আমল করুন।

উচ্চারণ:- রব্বিবনি লি ইন্নাকা বাইতান ফিল জান্নাহ।

অর্থ:- হে আমার পালনকর্তা! আপনার সন্কনিটে জান্নাতে আমার জন্য একটি বিবাহ নির্মাণ করুন। (সূরা তাহরীম: ১১)

৩৪। সবচাইত ঘৃণিত গুনাহ হচ্ছে শিরকের গুনাহ। শিরক মানে আল্লাহতালার সাথে অন্য কারো শরীক করা। মহান আল্লাহ তায়ালা একজন ব্যক্তির সকল গুনাহ চাইলে মাফ করতে পারেন কিন্তু মহান রাব্বুল আলামিন শিরকের গুনাহ কখনোই মাফ করবেন না । তাই আপনি যদি এই ভয়াবহ গুনাহ থেকে বাঁচতে চান তাহলে এই দোয়াটি নিয়মিত আমল করুন।

উচ্চারণ:- আল্লাহুম্মা ইন্নি আঊযু বিকা আন উশরিকা বিকা ওয়া আনা আ' লামু ওয়া আস্তাগফিরুকা লিমা লা আ'লাম।

অর্থ: হে আল্লাহ! আমি জ্ঞাত সারে আপনার সাথে শিরক করা থেকে আপনার নিকট আশ্রয় চাই এবং অজ্ঞাত্মসারের শিরক হয়ে গেলে তার জন্য ক্ষমা চায়। ( আদাবুল মুফরাদ নং ৭১৬)

৩৫। মানুষ মরণশীল প্রতিটি মানুষকে মৃত্যুর স্বাদ ভোগ করতে হবে। তাই মৃত্যুর পরে আপনি যদি নেককার বান্দাদের সাথে মিলিত হতে চান তাহলে এই দোয়াটি পড়ে আল্লাহর কাছে দোয়া করুন।

উচ্চারণ:- তাওয়াফফানি মুসলিমাঁ ওয়া আলহিক্বনী- বিস-সলিহী-ন।

অর্থ:- আমাকে মুসলিম অবস্থায় মৃত্যুদিন এবং নেককারদের সাথে আমাকে যুক্ত করুন। (সূরা ইউসুফ

 ইস্তেগফার ও প্রয়োজনীয় দোয়া 

৩৬। সকল প্রকারের ইস্তেগফার

উচ্চারণ: আস্তাগফিরুল্লাহ ্

অর্থ:- আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। মিশকাত ৯৬১)

আস্তাগফিরুল্লাহা ওয়া আতুবু ইলাইহি।

অর্থ: আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি ও তার দিক ফিরে আসছি। (সহি বুখারী শরীফ ৬৩০৭)

উচ্চারণ:- আস্তাগফিরুল্লাহাল্লাজি লা-ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাইয়্যুম কাইয়্যুম ওয়া আতুবু ইলাইহি।

অর্থ:- আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই, তিনি ছাড়া প্রকৃতপক্ষে কোন মাবুদ নাই, তিনি চিরঞ্জীব, চিরস্থায়ী এবং তার কাছে তওবা করি।

যে এই দোয়াটি পড়েন মহান আল্লাহ তা'আলা তাকে ক্ষমা করে দিবেন যদিও সে যুদ্ধ থেকে পলনকারী হয়। (আবু দাউদ ১৫১৭)

৩৭। মহান রাব্বুল আলামিন আপনাকে যে সকল নেয়ামত দিয়েছেন শেষ পর নেয়ামত যেন হারিয়ে নেয়া যায় সেজন্য আপনি নিমরক্ত দোয়াটি পড়ে আল্লাহর কাছে দোয়ার জন্য।

উচ্চারণ:- আল্লাহুম্মা ইন্নি আঊযুবিকা মিন যাওয়া-লি-নি'মাতিক, ওয়া তা হাও্উলি 'আ-ফিয়াতিক, ওয়া ফুজা-য়াতি নিকমাতিকা, ওয়া জামী'ই সাখ-তিক।

অর্থ:- হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট আশ্রয় চাইনি, আমাত দূর হয়ে যাওয়া হতে, তোমার দেয়া সুস্থতা পরিবর্তন হয়ে যাওয়া থেকে, তোমার হঠাৎ শাস্তি আসা হতে এবং তোমার সকল প্রকার অসন্তুষ্টি থেকে। (মুসলিম ৬৮৩৭)
৩৮। আপনি যদি আপনার মন্দ ভাগ্য থেকে রক্ষা পেতে চান তাহলে এই দোয়াটি আমল করুন। এবং আপনার ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য আল্লাহ তালার কাছে প্রার্থনা করুন।

উচ্চারণ:-আল্লাহুম্মা ইন্নি আঊযুবিকা মিন জাহদিল বালা-য়ে ওয়া দারকিল শাক্বা-ই ওয়া সু-ইল ক্বদায়ি ওয়া শামাতাতিল আ'দা।

অর্থ:- হে আল্লাহ, অবশ্যই আমি তোমার নিকট কঠিন দুরবস্থা, দুর্ভাগ্যের নাগাল, মন্দ ভাগ্য এবং দুশমনের হাসি থেকে রক্ষা কামনা করছি।

৩৯। আপনি যদি সকল ধরনের গুনাহ থেকে মুক্তি পেতে চান তাহলে আপনি নিয়মিত এই দোয়াটি আমল করুন এবং মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে সকল পাপ থেকে বাঁচার জন্য প্রার্থনা করুন।

উচ্চারণ:-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকালাহু, লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ইয়ুহ্য়ী ওয়াইয়ূমীতু ওয়াহুয়া আলা কুল্লি শাই'ইন ক্বদীর।

অর্থ:-একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কোন হক ইলাহ নেই,তাঁর কোন শরিক নেই, এবং সকল প্রশংসা তার। তিনি জীবিত করেন এবং মৃত্যু দান করেন। আর তিনি সকল কিছুর উপর ক্ষমতাবান। (সহীহ্ তারগীব হাদীস ৪৭২)

৪০। আনাস (রা) বর্ণনা করেছেন নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই দোয়াটি পড়তেন।

উচ্চারণ:- আল্লাহুম্মা ইন্নি আউযুবিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হুজনী, ওয়া আউজুবিকা মিনাল আজজী ওয়াল কাসালি, ওয়া আউযুবিকা মিনাল বুখলি ওয়া জুবনি ,ওয়া আউযুবিকা মিন গালাবাতিদ দ্বীনী ওয়া কাহরীর রিজালি।

অর্থ:-হে আল্লাহ! নিশ্চয়ই আমি আপনার আশ্রয় নিচ্ছি দুশ্চিন্তা ও দুঃখ থেকে; অপারগতা ও অলসতা থেকে; কৃপণতা ও ভীরুতা থেকে; এবং রঙের ভার ও মানুষদের দমন পীড়ন থেকে। (সহি বুখারী ২৮৯৩)
৪১। আপনি যদি আপনার নিজের পাপের জন্য অনুতপ্ত হন এবং তওবা করেন সেই তওবা কবুলের জন্য আপনি নিম্নত্র দোয়াটি পাঠ করে আল্লাহর কাছে তওবা কবুলের জন্য প্রার্থনা করতে পারেন।

رَبِّ اغْفِرْ لِيْ وَتُبْ عَلَيَّ إِنَّكَ أَنْتَ التَّوَّابُ الرَّحِيْمُ

উচ্চারণ:- রব্বিগফিরলী ওয়া তুব ‘আলাইয়া, ইন্নাকা আনতাত তাউওয়া-বুর রহীম’

অর্থ:- হে আমার প্রতিপালক! আমাকে ক্ষমা কর ও আমার তওবা কবুল কর। নিশ্চয়ই তুমি তওবা কবুলকারী ও দয়াবান) ১০০ বার।

৪২। তাহলে মুসলমান সবাই ভয় পায় আমরা এক মুসলমান ভাই অন্য ভাইয়ের উপকার করে থাকেন। এক্ষেত্রে আমাদের উচিত আমাদের উপকারী ভাইদের জন্য দোয়া করা। আপনার উপকারী ব্যাক্তির জন্য দোয়া করার জন্য নিম্নোক্ত দোয়াটি পাঠ করে তার জন্য আল্লাহতালার কাছে প্রার্থনা করতে পারেন।

جَزَاكَ اللهُ خَيْرًا

উচ্চারণ:- জাযা-কাল্লা-হু খায়রান

অর্থ:- আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দিন)।

৪৩। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন,

مَنْ لَمْ يَشْكُرِ النَّاسَ لَمْ يَشْكُرِ اللهَ ‘

অর্থ:- যে ব্যক্তি মানুষের শুকরিয়া আদায় করে না, সে ব্যক্তি আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করে না’।

৪৪। আপনি যদি নিজের জন্য আল্লাহ তাআলার কাছে দো‘আ করতে চান তাহলে নির্ণয় পাঠ করে মহান দলেও অসীম আল্লাহর কাছে আপনার নিজের জন্য দোয়া করতে পারেন।

رَبِّ أَوْزِعْنِيْ أَنْ أَشْكُرَ نِعْمَتَكَ الَّتِيْ أَنْعَمْتَ عَلَيَّ وَعَلَى وَالِدَيَّ وَأَنْ أَعْمَلَ صَالِحًا تَرْضَاهُ وَأَدْخِلْنِيْ بِرَحْمَتِكَ فِيْ عِبَادِكَ الصَّالِحِيْنَ- (النمل 19)-

উচ্চারণ : ‘রবেব আওঝি‘নী আন আশকুরা নি‘মাতাকাল্লাতী আন‘আমতা ‘আলাইয়া, ওয়া ‘আলা ওয়ালেদাইয়া, ওয়া আন আ‘মালা ছ-লেহান তারযা-হু, ওয়া আদখিলনী বি রহমাতিকা ফী ‘ইবা-দিকাছ ছ-লেহীন।

অর্থ:- ‘হে আমার পালনকর্তা! আমাকে ও আমার পিতা-মাতাকে যে নে‘মত তুমি দান করেছ, তার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার শক্তি আমাকে দান কর এবং আমি যেন এমন সৎকর্ম করতে পারি, যা তুমি পছন্দ কর এবং আমাকে তোমার অনুগ্রহে তোমার সৎকর্মশীল বান্দাগণের অন্তর্ভুক্ত কর’ (নমল ২৭/১৯)।

৪৫। আপনি যখন ৪০ বছর বয়সে উপনীত হবেন তখন আপনি আপনার নিজের ও আপনার সন্তানদের কল্যাণের জন্য এই দোয়া কি পাঠ করে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করুন।

رَبِّ أَوْزِعْنِيْ أَنْ أَشْكُرَ نِعْمَتَكَ الَّتِيْ أَنْعَمْتَ عَلَيَّ وَعَلَى وَالِدَيَّ وَأَنْ أَعْمَلَ صَالِحًا تَرْضَاهُ وَأَصْلِحْ لِيْ فِيْ ذُرِّيَّتِيْ إِنِّيْ تُبْتُ إِلَيْكَ وَإِنِّيْ مِنَ الْمُسْلِمِيْنَ- (الأحقاف 15)-

উচ্চারণ : ‘রবেব আওঝি‘নী আন আশকুরা নি‘মাতাকাল্লাতি আন‘আমতা ‘আলাইয়া, ওয়া ‘আলা ওয়া-লেদাইয়া, ওয়া আন আ‘মালা ছ-লেহান তারযা-হু, ওয়া আছলিহ লী ফী যুররিইয়াতী, ইন্নী তুবতু ইলাইকা, ওয়া ইন্নী মিনাল মুসলিমীন’।

অর্থ:- ‘হে আমার পালনকর্তা! আমাকে ও আমার পিতা-মাতাকে যে নে‘মত তুমি দান করেছ, তার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার শক্তি আমাকে দান কর এবং আমি যেন এমন সৎকর্ম করতে পারি, যা তুমি পসন্দ কর এবং আমার জন্য আমার সন্তানদের মধ্যে তুমি কল্যাণ দান কর। আমি তোমার দিকে ফিরে গেলাম এবং আমি তোমার একান্ত আজ্ঞাবহদের অন্তর্ভুক্ত’ (আহক্বাফ ৪৬/১৫)।

শেষ কথা: ৪৫টি ইস্তেগফার ও প্রয়োজনীয় দোয়া

৪৫টি ইস্তেগফার ও প্রয়োজনীয় দোয়া আর্টিকেলটি যদি আপনি শেষ পর্যন্ত পড়েন তাহলে আমরা দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োজনীয় কিছু দোয়া শিখতে পারবেন যেগুলো যদি আপনি নিয়মিত আমল করতে পারেন তাহলে আপনি পরকালীন জীবনে আল্লাহ তাআলার লাভ করতে পারবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আরিফুল প্লাস এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url