ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার নিয়ম ও 12 উপকারিতা
15 টি উপায় বাংলা ব্লগ সাইট থেকে ইনকাম ও আয় বাড়ানোয় নিয়মআসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ আশা করি সবাই ভাল আছেন। ইসবগুলের ভুসি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী একটি জিনিস। কিন্তু আমরা অনেকেই ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার নিয়ম ও 12 উপকারিতা সম্পর্কে জানি।
আপনি হয়তো এটি খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে অনেক খোঁজাখুঁজি করেছেন কিন্তু সঠিক বিষয়টি আপনি এখনো বুঝতে পারেননি কিংবা জানতে পারেননি ।যে আপনার কোন সমস্যাই কি পরিমাণ ইসবগুলের ভুসি সেবন করবেন? ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার নিয়ম ও 12 উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
ইসবগুল কি
ইসবগুলো হল Psyllium Husk যা plantago Ovata নামক এক ধরনের গাছ থেকে পাওয়া যায়। ইসবগুল হল গুল্ম জাতীয় এক ধরনের উদ্ভিদ। একটি লম্বা তো সাধারণত দেড় থেকে দুই ফুটের মতো হয়ে থাকে। এর ফুল গুলো খুবই ছোট এবং সূক্ষ্ম পাত্রী যুক্ত হয়। বিউটিফুল সাধারণত ২ কোষ বিশিষ্ট হয় এবং লম্বায় ৭ থেকে ৮ মিলিমিটার হয়। কার্তিক মাসের দিকে ইসবগুলের বীজ গোপন করা হয় এবং চৈত্র মাসে ফসল সংগ্রহ করা হয়।
ইসবগুলের ভুসি কি
ইসবগুলের ভুষি হল এক ধরনের দ্রবণে ফাইবার যেটি সাইলেন্ট বীজের খোসা থেকে তৈরি হয়। কিংবা ল্যাজেক্টিভ হিসেবেও পরিচিত। এই সবগুলোর ভুসি মানবদেহের বিভিন্ন ধরনের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ যেমন হাড় বা হৃৎপিণ্ড অনশয় এর মত অঙ্গসমূহকে সুস্থ রাখতে ভূমিকা পালন করে বলে গবেষকেরা বলেন।
ইসবগুলের পুষ্টি উপাদান
প্রতি চামচ এসব গুলো ইসবগুলের পুষ্টি উপাদান
ইসবগুলের ভুসি খাবার উপকারিতা
ইসবগুলের ভুষি আপনার শরীরের জন্য খুবই উপকারী একটি জিনিস। এটি যদি আপনি নিয়মিত সঠিক মাত্রায় ব্যবহার করেন তাহলে আপনি যে সকল সমস্যা ক্ষেত্রে উপকারিতা পাবেন সেগুলো নিচে তুলে ধরা হলো।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে: কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে এসব ইসবগুলের ভুষিকে মহা ঔষধ হিসেবে গণ্য করা হয়। আপনার পাইলস নামক সমস্যাটি এই কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণেই হয়ে থাকে এবং সেই কারণে চিকিৎসকগণ পাইলসের রোগীদের সব সময় ইসবগুলের ভুষি সেবন করার পরামর্শ দেন। এছাড়াও আপনি যদি পেটের ব্যথার সমস্যায় ভুগে থাকেন তাহলে আপনি নিয়মিত ইসবগুলের ভুসি খেতে পারেন।
কারণ ইসবগুলের ভুষিতে থাকা মিউসিলেজিনাসের কারণে আপনার পেটের আলসার জনিত পেট ব্যথা তুলনামূলকভাবে কম অনুভূত হবে। এছাড়াও এটিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যামাইনো এসিড যেটি আপনার কোষ্ঠকাঠিন্যের মত সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। তাই আপনি প্রতিদিন সকালে ও রাত্রে দুই থেকে তিন টেবিল চামচ ইসবগুলের ভুসি পানিতে ভিজিয়ে আধা ঘন্টা পরে সেবন করুন।
প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া দূর করে এসব ভুল : আপনার যদি প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া থাকে তাহলে আপনি আপনার প্রস্রাবের এ জ্বালাপোড়ার সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে এসব গুলের ভুষি সেবন করতে পারেন। প্রসবের জ্বালাপোড়ার থেকে মুক্তি পেতে চান তাহলে আখের গুড়ের সাথে ইসুবগুলের ভুষি মিশিয়ে খেলে আপনি উপকৃত হবেন। ভালো ফল পেতে আপনি এটা সকালে এবং বিকেলে খেতে করতে পারেন।
গ্যাসের সমস্যা দূর করে: বর্তমান সময়ে একটি কমন সমস্যা হল গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা। আমাদের প্রতিদিনের অনিয়ন্ত্রিত জীবন যাপন এবং খাদ্যাভ্যাস এ গ্যাসের সমস্যার মূল কারণ। আর এই গ্যাসের সমস্যার ঘরোয়া একটি সমাধান হলো ইসবগুলের ভুসি। আপনি যদি নিয়মিত সঠিক পরিমাণের ইসবগুলের ভুসি সেবন করেন তাহলে আপনার পাকস্থলি র দেয়ালে এক ধরনের পাতলা আবরণ তৈরি করতে সহায়তা করে। এছাড়াও এটি হজমশক্তি ঠিক রাখার জন্য প্রয়োজনীয় এসিড নিঃসরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই আপনি শুধু গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে রক্ষা পেতেই নয় বরং এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে নিয়মিত সঠিক মাত্রায় ইসবগুলের ভুসি খেতে পারেন।
ডায়রিয়া প্রতিরোধ করে: ডায়রিয়া প্রতিরোধের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এসব গুলোর খুশি। ডাইরিয়া সমস্যার থেকে মুক্তি পেতে আপনি দয়ের সঙ্গে এসব গুলোর ভুসি মিশিয়ে খেলে উপকার পাবেন। ধুয়ে রয়েছে প্রবায়োটিক যা আপনার পাকস্থলীর ইনফেকশন সারাতে সহায়তা করে এবং ইসবগুলের ভুসি তরল মলকে শক্ত করতে ভূমিকা পালন করে। তাই আপনি যদি ডায়রিয়া মত সমস্যায় ভুগে থাকেন তাহলে দই এবং ইসবগুলের ভুসি মিশিয়ে খেলে দ্রুত উপকার পাবেন।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে: যারা ডায়াবেটিস রোগী রয়েছেন তাদের জন্য একটি উপকারী উপাদান হলো ইসবগুলের ভুসি। কারণ ইসবগুলের ভুষিতে রয়েছে জেলটির নামক একটু উপাদান যেটি আপনার শরীরের গ্লুকোজের ভাঙ্গন ও শোষণের পরিমাণ কম করে। ফলে আপনার রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। এছাড়া আপনি যদি নিজেকে স্পাইক এবং নিচু অনুভব করেন তাহলে ইসবগুল হতে পারে আপনার জন্য আশীর্বাদস্বরূপ।
হার্টে ভালো রাখে: ইসবগুলের ভুষিতে রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণে খাদ্য আশ যেটি আপনার কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সহায়তা করে। ফলে আপনার হার্ড থাকে সুস্থ এবং সবল। এছাড়া এটি যদি আপনি নিয়মিত সেবন করেন। তাহলে আপনার পাকস্থলীর দেয়ালে এক ধরনের পাতলা প্রলেপ তৈরি করে। যার ফলে খাদ্য থেকে কোলেস্টেরলের শোষণের মাত্রা কম হয়। ফলে আপনার রক্তের শ্রীরাম নামক কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে যায়। এছাড়া আপনি যদি এটি নিয়মিত সঠিক মাত্রায় সেবন করেন তাহলে আপনার রক্তে থাকা অতিরিক্ত কোলেস্টেরল সরাতে কাজ করে। ফলে আপনার ধমনীতে কোন ধরনের ব্লকের সম্ভাবনা থাকে না।
কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে: ইসবগুলের ভুষিতে রয়েছে দ্রবনীয় এবং অদ্রবণীয় ও ভাই ফাইবার। এছাড়া আপনি যদি নিয়মিত সঠিক মাত্রায় ইসবগুল সেবন করেন তাহলে আপনার শরীরের এল ডি এল বা খারাপ কোলেস্টেরল এবং সিরাম কোলেস্টেরল কে উল্লেখযোগ্য হারে কমাতে সহায়তা করে।
ওজন কমাতে সাহায্য করে: আপনি যদি আপনার ওজন কমাতে চান সে ক্ষেত্রে ইসবগুলের ভুসি হতে পারে এর অন্যতম একটি সমাধান। আপনি যদি খাবার আধা ঘন্টা আগে এসব গুলোর ভুসি পানিতে ভিজিয়ে খেয়ে ফেলেন তাহলে আপনার অন্যান্য খাবার চাহিদা কমে যাবে। যার ফলে আপনাদের অতিরিক্ত চর্বি সংশ্লেষণ কমাতে সাহায্য করবে এবং আপনার ওজন কম হবে।
হজম শক্তি বৃদ্ধি করে: আপনি যদি হজমশক্তি হীনতায় ভোগে থাকেন তাহলে আপনার এই সমস্যার সমাধান হতে পারে ইসবগুলের ভুসি। আপনি যদি নিয়মিত সঠিক মাত্রায় ইসবগুলের ভুসি সেবন করেন তাহলে আপনার হজম প্রক্রিয়ার অস্বাভাবিকতা কমে যাবে। ফলে আপনার পাকস্থলীর গাত্র থেকে হজম সহায়ক এনজাইম সংশ্লেষণের মাত্রা বেড়ে যাবে ফলে আপনার হজম শক্তি বৃদ্ধি পাবে।
চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে: আপনি যদি স্বাস্থ্যকর চুল পেতে চান তাহলে আপনাকে আপনার রেচনতন্ত্র স্বাস্থ্যকর রাখতে হবে। কারণ স্বাস্থ্যকর পাচনতন্ত্র মানে আপনার শরীরে প্রয়োজনীয় সকল পুষ্টি শোষণ করতে পারে সেই সাথে সাথে আপনার শরীর থেকে বিষাক্ত সকল পদার্থ ও ক্ষতিকারক উপাদান শরীর থেকে বের করতে পারে। এর ফলে আপনার চুলের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। আর এ সকল কাজ সঠিকভাবে হতো হলে আপনার নিয়মিত সঠিক মাত্রায় ইসবগুলের ভুসি সেবন করা প্রয়োজন।
প্রদাহ ও সংক্রমনের বিরুদ্ধে লড়াই করেন: আপনার শরীরের সকল ধরনের প্রদাহ ও সংক্রমনের মাত্রা কমাতে ইসবগুলের ভুসি সাহায্য করে। এতে থাকা প্রিবায়োটিক গুলো আপনার শরীর সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে। ইসবগুলের থাকা প্রিবায়োটিক অন্ত্রের স্বাস্থ্যকর ব্যাকটেরিয়া বজায় রাখার জন্য খুবই দরকার কারণ এই ব্যক্তিরা গুলোই আপনার হজমের ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করবে।
পাইলস রোগের সমস্যা: আপনি যদি পাইলসের সমস্যায়ভূমে থাকেন তাহলে আপনি অবশ্যই ইসুবগুলের ভুসি খেতে পারেন। কারণ অনেক সময় দেখা যায় সমস্যায় ভুবেন তাদের মলত্যাগের সময় রক্তক্ষরণ হয়। কারণ আপনার কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণে এই সমস্যাটা আরো বেশি দেখা যায়। এমতাবস্থায় আপনি নিয়মিত সব ভুলেও খুশি হতে পারেন।
ইসবগুলের ভুসি খাবার নিয়ম
কোষ্ঠকাঠিন্যের ক্ষেত্রে: আপনি যদি কষ্ট কাঠিন্যের মত সমস্যায় ভুগছেন। তাহলে আপনি আপনার এই কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর করতে প্রতিদিন রাত্রে ঘুমানোর আগে হালকা কুসুম গরম দুধের সাথে দুই থেকে তিন চা চামচ এসব গুলের ভুষি আধা ঘন্টা ভিজিয়ে পান করুন। এভাবে কিছুদিন শেভেন করলে দেখবেন আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য আর থাকবে না।
আরোও পড়ুনঃ পাথরকুচির পাতা সকল রোগের মহৌষধ!
ডায়রিয়া প্রতিরোধে: আপনি যদি হঠাৎ জায়গাতে আক্রান্ত হন এবং আপনার হাতের কাছে যদি কোন ধরনের ঔষধ না থাকে সেক্ষেত্রে আপনি ইসবগুলের ভুসি খেয়ে ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। দুই থেকে তিন চামচ দইয়ের সাথে দুই চামচ ইসবগুলের ভুসি ভালোভাবে মিশিয়ে দিনে দুইবার পান করুন।
এসিডিটি সমস্যায় : আপনার পাকস্থলীতে যদি প্রচুর পরিমাণ উৎপন্ন হয় এবং আপনি যদি সমস্যায় ভুগে থাকেন তাহলে নিয়মিত খাবার হাম গ্লাস দুধের সাথে ২ চা চামচ ইসকগুলের ভুসি মিশিয়ে পান করুন। এইতো আপনার পাকস্থলের উৎপাদন ক্ষমতা কমে যাবে এবং আপনি গ্যাসের সমস্যা থেকে কিছুটা রক্ষা পাবেন।
ওজন কমাতে : আপনি যদি ওজন কমাতে চান সেক্ষেত্রে ইসবগুলের ভুসিকে দুইভাবে ব্যবহার করতে পারেন। প্রথমত খাবার কিছুক্ষণ আগে এক গ্লাস কুসুম কুসুম গরম পানিতে দুই চামচ ইসবগুলের ভুসি এবং ও কিছুটা লেবুর রস মিশিয়ে খেতে পারেন।
দ্বিতীয়ত এক গ্লাস পানিতে দুই থেকে তিন চার চামচ এসব গুলের ভুষি ২-৩ ঘন্টা ভিজিয়ে রেখে খেতে পারেন। তাই আপনি যদি আপনার ওজন কমাতে পারেন আপনি ইসবগুলের ভুসিকে এই দুইভবের যেকোনো একটিকে ব্যবহার করতে পারেন।
ইসবগুলের ভুসির পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
সে কোন জিনিসেরই একটি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে যদি আপনি সেটা সঠিকভাবে ব্যবহার না করেন। ইসবগুলের ভুষিও এর ব্যতিক্রম নয়। ইসবগুলের ভুষি মূলত রেচক হিসেবে কাজ করে। ফলে এটি যদি সঠিকভাবে ব্যবহার না করেন তাহলে এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া খুবই বেশি হতে পারে। তাহলে চলুন আমরা জেনে নেই ইসবগুলের ভুসির পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া।
- আপনি যদি মাত্রা অতিরিক্ত এটি সেবন করেন তাহলে আপনার পেটে প্রচন্ড পরিমাণে ব্যথা, গ্যাসের সমস্যা বৃদ্ধি , এমনকি মলত্যাগের পরিমাণও বৃদ্ধি পেতে পারে।
- আপনি যদি ইসুবগুলের ভুষির সাথে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান না করেন সে ক্ষেত্রে আপনার অন্ত্রে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- এটি যদি সঠিকভাবে ব্যবহার না করেন তাহলে আপনার বমি বমি ভাব খিচুনি এমনকি বমি পর্যন্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
- ইসবগুলের ভুষিতে যথেষ্ট পরিমাণ উচ্চ ফাইবার থাকে যার ফলে আগুনে যদি এটি বেশি পরিমাণ সেবন করেন তাহলে আপনার ইনসুলিন সংবেদনশীলতা দেখা দিতে পারে।
- এটি সেবনের সময় আপনি যদি পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি না পান করেন সেক্ষেত্রে আপনার গলা কিংবা খাদ্যনালী ব্লক হয়ে যেতে পারে।
আপনি যখন ইসবগুলের ভুসির পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার কোন লক্ষণ দেখা দিলে আপনি দেরি না করে আপনার নিকটস্থ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। তিনি আপনাকে আপনার সমস্যার সমাধানের পরামর্শ প্রদান করবেন।
আরোও পড়ুনঃ পুরুষদের জন্য আদার উপকারিতা
আপনি যদি ইসবগুলের ভুষির পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হতে রক্ষা পেতে চান তাহলে এটি সেবনের পরে সর্বনিম্ন ২৫০ মিলিগ্রাম পানি পান করবেন। এর কম বেশি পানি যদি আপনি পান করেন তাহলে আপনি এ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার যেকোনো একটিতে আক্রান্ত হতে পারেন।
ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার জন্য সতর্কতামূলক কিছু টিপস
যদিও ইসবগুলের ভুষি আপনার শরীরের জন্য উপকারী তারপরেও আপনাকে এটি সেবনের ক্ষেত্রে কিছুটা সতর্কতামূলক দৃষ্টি রাখতে হবে। এটি শোভনের আগে সতর্ক থাকার মূল কারণ হলো এটি কিছু ঔষধ এবং স্বাস্থ্যের সাথে হস্তক্ষেপ করতে পারে। তাই আপনি ইসবগুলের ভুষি খাওয়ার আগে আপনি অবশ্যই এর সতর্কতামূলক টিপস গুলো ফলো করবেন যেগুলো আমরা নিচে আপনার জন্য তুলে ধরেছি।
- যদি আপনার গলাতে কোন ধরনের সমস্যা থেকে থাকে তাহলে আপনি ইসবগুল এড়িয়ে চলুন।
- আপনি যদি ডায়াবেটিসের রোগী হন এবং আপনি যদি নিয়মিত ইসবগুলোর খুশি সেবন করেন তাহলে আপনি আপনার ব্লাড সুগারের দিকে নজর রাখুন।
- আপনার যদি হার্টের সমস্যা থেকে থাকে এবং আপনি যদি হাইপারটেনশিপ ঔষধ খান সে ক্ষেত্র যদি ইসবগুল খেয়ে থাকেন তাহলে আপনার রক্তচাপ নিয়মিত পরীক্ষা করুন।
- অন্যান্য ওষুধের সঙ্গে মিথস্ক্রিয়া এড়াতে আমলে এসব গুলো এবং অন্যান্য ঔষধ আলাদা আলাদা সেবন করুন।
- আপনি যদি ইসবগুলের সঠিক ডোজ জানতে চান তাহলে তাহলে আপনি আপনার নিকৃষ্ট চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করুন এবং সঠিক মাত্রা জেনে নিন।
- আপনি যদি গর্ভাবস্থায় ইসবগুলের ভুষি সেবন করতে চান তাহলে আপনি অবশ্যই আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন এবং খাবার সঠিক নিয়মটি জেনে নিন।
- আপনার যদি এনার্জি সমস্যা থেকে থাকে তাহলে ইসবগুলের ভুষি এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন।
- আপনি যদি একজন কিডনি রোগী হন তাহলে আপনি এসব ভুল খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
শেষ কথা: ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার নিয়ম ও 12 উপকারিতা
ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার নিয়ম ও 12 উপকারিতা নিয়ে লেখা আর্টিকেলটি যদি আপনি মনোযোগ দিয়ে এখনো শেষ পর্যন্ত না পড়ে থাকেন তাহলে এখনি পড়ে ফেলুন। কারণ আপনি যদি আর্টিকেল সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে করেন তাহলে আপনি জানতে পারবেন। ইসবগুলের ভুসি কি? কোন ধরনের উপাদান কি পরিমাণে থাকে? ইসবগুলের ভুসি খাবার বিভিন্ন ধরনের উপকারিতা।
আরোও পড়ুনঃ রাতে কালোজিরা খেলে কি হয়
ইসবগুলের ভুসি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া এবং সতর্কতামূলক টিপস। তাই আপনি এখনো যদি আমাদের এই আর্টিকেলটি না পড়ে থাকেন তাহলে এখনি শেষ পর্যন্ত করে ফেলেন। পরিশেষে আমাদের আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লাগে তাহলে আপনার বন্ধুদের নিকট শেয়ার করুন।
আরিফুল প্লাস এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url