ইতালি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৬ - ইতালিতে কাজের বেতন কত
ইতালি ইউরোপের ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও সেনজেনভুক্ত উন্নত একটি দেশ। বিশ্বের বিভিন্ন
দেশ থেকে মানুষ ইউরোপের এই দেশটিতে যাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে থাকে। দেশটিতে কাজের
উদ্দেশ্যে যেতে ইতালি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা প্রয়োজন হয়।
ইউরোপের এই দেশটির কাজের ভিসা পাওয়া অনেক কঠিন। দেশটির অর্থনীতি শক্তিশালী
হওয়ায় দেশটিতে কাজের সুযোগ রয়েছে। এজন্য ইতালি যেতে আগ্রহীদের ইতালি ওয়ার্ক
পারমিট ভিসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে।
এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়লে ইতালি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সম্পর্কে জানতে
পারবেন। এছাড়া ইতালি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া, ইতালিতে কাজের বেতন
কত, ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ইত্যাদি সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানতে পারবেন।
পোষ্ট সূচিপত্রঃ
ইতালি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৬
ইতালি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা হলো এমন একটি অনুমতিপত্র, যা বিদেশী নাগরিকদের
ইতালিতে আইনিভাবে কাজ করার সুযোগ দেয়। এটি সাধারণত ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরের
নাগরিক বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য প্রযোজ্য যেমন:
- সিজোনাল কাজ (কৃষি, পর্যটন)।
- দীর্ঘমেয়াদি কাজ (ইলেকট্রিশিয়ান, কনস্ট্রাকশন, রেস্টুরেন্ট)।
- দক্ষ পেশা (আইটি, ইঞ্জিনিয়ারিং)।
ইতালি সরকার প্রতি বছর একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ইস্যু করার
জন্য 'Decreto Flussi' নামক একটি কোটা ঘোষণা করে থাকে।
ইতালি ওয়ার্ক পারমিট ভিসার প্রকারভেদ
কাজের প্রকৃতি ও সময়কালের ভিত্তিতে ইতালিতে বিভিন্ন প্রকারের ওয়ার্ক পারমিট
ভিসা পাওয়া যায়ঃ
সিজোনাল ওয়ার্ক ভিসা:
- মেয়াদ: ৬-৯ মাস।
- কাজ: কৃষি, পর্যটন, ফল সংগ্রহ।
নন-সিজোনাল ওয়ার্ক ভিসা:
- মেয়াদ: ১-২ বছর, নবায়নযোগ্য।
- কাজ: কনস্ট্রাকশন, ড্রাইভিং, ইলেকট্রিশিয়ান।
সেলফ-এমপ্লয়মেন্ট ভিসা:
- মেয়াদ: ১-২ বছর।
- কাজ: ফ্রিল্যান্সিং, ব্যবসা।
ব্লু কার্ড (EU Blue Card):
- মেয়াদ: ২ বছর বা চাকরির মেয়াদ অনুযায়ী।
- কাজ: উচ্চ দক্ষতাসম্পন্ন পেশা (যেমন আইটি, ইঞ্জিনিয়ারিং)।
বাংলাদেশিদের মধ্যে সিজোনাল এবং নন-সিজোনাল ওয়ার্ক ভিসাই হলো সর্বাধিক
প্রচলিত।
সাধারণত ইতালি বিভিন্ন কাজ করতে চাইলে ইতালির ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যেতে
হবে। বর্তমান সময়ে যারা ইতালি কাজের জন্য যেতে চাচ্ছে তাদের মধ্যে বেশিরভাগ
লোকেদের ইতালি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানা থাকে
না।
মূলত ইতালির ওয়ার্ক পারমিট ভিসার মধ্যেও কয়েক ধরনের কাজের ভিসা রয়েছে। আর
একেক ক্যাটাগরির কাজের ভিসার দাম একেক রকম ভাবে নির্ধারণ করা থাকে। সেক্ষেত্রে
যদি কাজের ভিসার ক্যাটাগরি ভালো থাকে তাহলে মাসে অনেক টাকা ইনকাম করতে
পারবেন।
ইতালির ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করতে চাইলে অবশ্যই কাজের উপর
অভিজ্ঞতা এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকতে হবে। তাই এখন প্রিয় গ্রাহকদের
সুবিধার্থে ইতালির ওয়ার্ক পারমিট ভিসার মধ্যে কোন কোন ক্যাটাগরির কাজের ভিসা
আছে সেগুলো কাজের ভিসার নাম তুলে ধরবোঃ
- কৃষি ভিসা।
- ভিজিট ভিসা।
- ইঞ্জিনিয়ার ভিসা।
- ক্লিনার ভিসা ইত্যাদি।
ইতালি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়ার উপায়
বর্তমান বাংলাদেশি নাগরিকদের কাছে ইতালি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সোনার হরিণের
মত। বাংলাদেশের মানুষ এই ভিসা পাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশ থেকে
ইতালি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে সরকারিভাবে কিংবা বেসরকারিভাবে যেতে পারবেন।
বাংলাদেশ থেকে ইতালি কাজের ভিসা নিয়ে সরকারিভাবে যাওয়ার জন্য বোয়েসেল,
বিএমইটি, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় ও আমি প্রবাসী অ্যাপ ইত্যাদি সরকারি
প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ভিসা প্রসেসিং করতে হবে। সরকারি এসব ওয়েবসাইট কিংবা
অ্যাপ ব্যবহার করে ইতালি জব আবেদন করতে হয়।
উপরোক্ত সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেদের ওয়েবসাইটে কিংবা অ্যাপে ইতালি জব
সার্কুলার পাবলিশ করে থাকে। আগ্রহীদের একাউন্ট তৈরি করে কাঙ্খিত চাকরির জন্য
আবেদন করতে হয়। কর্তৃপক্ষ যোগ্য ব্যক্তিদের বাছাই করে প্রশিক্ষণ দিয়ে ইতালি
প্রেরণ করে থাকে।
বেসরকারিভাবে বিভিন্ন এজেন্সির সহযোগিতায় ইতালি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
প্রসেসিং করা যায়। এক্ষেত্রে এজেন্সিকে ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
সংগ্রহ করে জমা দিতে হয়। এজেন্সি নিজ দায়িত্বে কাজের অফার সংগ্রহ করে ভিসা
প্রসেসিং করে দেয়।
কেউ চাইলে নিজে নিজে কাজের অফার সংগ্রহ করে ভিসা প্রসেসিং করতে পারে। ভিসা
আবেদন করার পর অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিয়ে নির্দিষ্ট তারিখে আবেদনকারীকে
এম্বাসিতপ সাক্ষাৎকার দিতে ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র সঙ্গে নিয়ে
যেতে হবে। বাংলাদেশেই ইতালি দূতাবাস রয়েছে।
ইতালি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পেতে কি কি লাগে?
ইতালি কাজের ভিসা আবেদন করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিকটস্থ দূতাবাসে জমা
দেওয়া লাগে লাগে। নিম্নে উল্লেখিত গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র ছাড়া ইতালি
ওয়ার্ক পারমিট ভিসা প্রসেসিং করতে পারবেন না:
📌আরো পড়ুন👉ইতালি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা খরচ জেনে নিন
- বৈধ পাসপোর্ট
- আবেদনকারীর পাসপোর্ট সাইজের ছবি
- ইতালি ভিসা অ্যাপ্লিকেশন ফরম
- জব অফার লেটার বা নিয়োগ চুক্তি
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স
- মেডিকেল সার্টিফিকেট
- একাডেমিক সার্টিফিকেট
- ট্রাভেল ইন্স্যুরেন্স
- ইংরেজি ভাষা দক্ষতার স্কোর (যদি লাগে)
- কাজের অভিজ্ঞতার প্রমাণ
- কাজের দক্ষতার সার্টিফিকেট
- জাতীয় পরিচয়পত্র
ইতালি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন ২০২৬
সাধারণত যদি ইতালিতে কাজের জন্য যেতে চান তাহলে অবশ্যই ইতালির ওয়ার্ক পারমিট
ভিসা লাগবে। তবে ইতালির ভিসা পাওয়ার জন্য আপনাকে সঠিক নিয়মে ভিসার জন্য
আবেদন করতে হবে। সেক্ষেত্রে আপনারা এজেন্সির মাধ্যমে কথা বলে ইতালির ভিসার
জন্য আবেদন করতে পারবেন।
কিন্তু বর্তমান সময়ে এজেন্সির মাধ্যমে ইতালির ভিসা আবেদন ফি এবং যাবতীয় সকল
খরচ অনেক বেশি। এজন্য আপনারা সরকারি সার্কুলারের অপেক্ষা করে অল্প খরচে ভিসার
জন্য আবেদন করতে পারেন। এছাড়াও দালালের মাধ্যমেও ভিসার জন্য আবেদন করতে
পারবেন।
তবে দালালের মাধ্যমে ইতালি যেতে চাইলে অবশ্যই ইতালি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
সম্পর্কে সকল তথ্য জেনে নিবেন। যদি আপনাদের অনলাইনের ওপর ভালো অভিজ্ঞতা থাকে
তাহলে নিজেরাই ঘরে বসে ইতালির ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
ইতালি ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন প্রক্রিয়া
ইতালির ওয়ার্ক পারমিট ভিসা লাভের জন্য প্রধানত দুটি ধাপ অনুসরণ করতে হয়
প্রথমত, নিয়োগকর্তার আবেদন এবং দ্বিতীয়ত, ভিসার জন্য আবেদন। নিচে এই
প্রক্রিয়াটি পর্যায়ক্রমে তুলে ধরা হলো:
📌আরো পড়ুন👉ইতালি ভিসা আবেদন করার নিয়ম দেখুন
ধাপ ১: নিয়োগকর্তার মাধ্যমে নুল্লা ওস্তা (Nulla Osta)
- ইতালিতে অবস্থানরত নিয়োগকর্তা আপনার জন্য নুল্লা ওস্তা আবেদন করবেন।
- এটি ইতালির Sportello Unico per l’Immigrazione-এ জমা দিতে হয়।
- আপনার পাসপোর্ট কপি, চাকরির চুক্তি, এবং নিয়োগকর্তার আর্থিক সক্ষমতার প্রমাণ।
- সময়: ৩০-৬০ দিন।
ধাপ ২: VFS Global-এ ভিসা আবেদন
- নুল্লা ওস্তা মঞ্জুর হলে, আপনাকে বাংলাদেশে অবস্থিত ভিএফএস গ্লোবাল (VFS Global) অফিসে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে।
- ঠিকানা: VFS Global, ঢাকা (বিস্তারিত ওয়েবসাইটে: https://visa.vfsglobal.com/bgd/en/ita/)।
- আবেদনের সময় অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুক করতে হবে।
ধাপ ৩: প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা
নিচে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের তালিকা দেওয়া হলো:
- পাসপোর্ট: মেয়াদ কমপক্ষে ৬ মাস এবং ২টি ফাঁকা পৃষ্ঠা।
- নুল্লা ওস্তা: নিয়োগকর্তার কাছ থেকে প্রাপ্ত কাজের অনুমতি।
- চাকরির চুক্তি: ইতালিয়ান নিয়োগকর্তার সাথে স্বাক্ষরিত চুক্তি।
- ছবি: ৩৫x৪৫ মিমি, সাদা ব্যাকগ্রাউন্ড, সাম্প্রতিক।
- আর্থিক প্রমাণ: ব্যাংক স্টেটমেন্ট (গত ৬ মাস)।
- ভিসা ফি: প্রায় ১১৬ ইউরো (১৪,৫০০ টাকা, ১ ইউরো = ১২৫ টাকা ধরে)।
- শিক্ষাগত সনদ: কাজের ধরন অনুযায়ী (যেমন ইলেকট্রিশিয়ান সার্টিফিকেট)।
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স: সাম্প্রতিক এবং সত্যায়িত।
ধাপ ৪: বায়োমেট্রিক তথ্য জমা
- ভিএফএস গ্লোবাল-এ আপনার আঙুলের ছাপ ও ছবি জমা দিতে হবে।
- এটি ভিসা প্রক্রিয়ার একটি বাধ্যতামূলক অংশ।
ধাপ ৫: ভিসা প্রক্রিয়াকরণ
- আবেদন জমা হওয়ার পর ইতালি দূতাবাস আপনার ভিসা প্রক্রিয়াকরণের কাজ শুরু করবে।
- সময়: ৩০-৯০ দিন
ধাপ ৬: ভিসা গ্রহণ ও ইতালি যাত্রা
- ভিসা মঞ্জুর হলে ভিএফএস গ্লোবাল থেকে আপনার পাসপোর্টটি সংগ্রহ করুন।
- ইতালিতে যাওয়ার আট দিনের মধ্যে স্থানীয় পুলিশ স্টেশনে Permesso di Soggiorno (বাসস্থান বা রেসিডেন্স পারমিট)-এর জন্য আবেদন করা আবশ্যক।
ইতালি স্টুডেন্ট ভিসা ২০২৬
বাংলাদেশ থেকে বহু শিক্ষার্থীই ইতালির স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে যেতে আগ্রহী।
শিক্ষাজীবনের জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীদের কাছে ইতালি একটি
জনপ্রিয় স্থান। তবে স্টুডেন্ট ভিসায় ইউরোপের এই দেশে যাওয়ার পূর্বে দেশটি
সম্পর্কে অবগত হওয়া জরুরি।
📌আরো পড়ুন👉ইতালি ট্যুরিস্ট ভিসা খরচ দেখে নিন
ইতালি একটি প্রাচীন দেশ এবং এখানে বিশ্বখ্যাত অনেক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে।
ইউরোপের এই দেশটিতে গেলে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার পাশাপাশি খণ্ডকালীন কাজও
করতে পারে। ইতালিতে কাজের মজুরি তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি।
বাংলাদেশ থেকে স্টুডেন্ট ভিসায় ইউরোপের এই দেশে যেতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের
ইতালি স্টুডেন্ট ভিসা প্রসেসিং, যোগ্যতা এবং খরচ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে
হবে।
ইতালি স্টুডেন্ট ভিসা যোগ্যতা
উচ্চশিক্ষা গ্রহণের উদ্দেশ্যে ইতালিতে যাওয়ার জন্য স্টুডেন্ট ভিসা
অপরিহার্য। এই ভিসা পেতে হলে শিক্ষার্থীদের অবশ্যই ইতালির স্টুডেন্ট ভিসার
জন্য নির্ধারিত যোগ্যতাগুলো পূরণ করতে হবে। এই দেশে বিভিন্ন ধরনের স্টুডেন্ট
ভিসা ক্যাটাগরি রয়েছে।
সাধারণত, উচ্চশিক্ষা লাভের জন্য আবেদনকারীর বয়স ন্যূনতম ১৮ বছর হতে হয়। এই
ভিসার জন্য আবেদন করতে হলে শিক্ষার্থীদেরকে ইতালির কোনো একটি বিশ্ববিদ্যালয়
থেকে ভর্তির আনুষ্ঠানিক অফার লেটার পেতে হবে।
ইতালি স্টুডেন্ট ভিসার মেয়াদ সাধারণত ৫ বছর পর্যন্ত হয়ে থাকে। স্টুডেন্ট
ভিসার আবেদন করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রগুলো হলো:
- বৈধ পাসপোর্ট
- জাতীয় পরিচয় পত্র
- একাডেমিক সার্টিফিকেট
- একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট
- রিকমেন্ডেশন লেটার
- আইইএলটিএস স্কোর
- পাসপোর্ট সাইজের ছবি
- বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির অফার লেটার
- ব্যাংক স্টেটমেন্ট
- স্বাস্থ্য বীমা
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স
- মেডিকেল রিপোর্ট সার্টিফিকেট
- ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন
ইতালি স্টুডেন্ট ভিসা প্রসেসিং করার নিয়ম
শিক্ষার্থীরা নিজেদের উদ্যোগে কিংবা কোনো এজেন্সির মাধ্যমে ইতালির স্টুডেন্ট
ভিসার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারে। এর জন্য প্রথমে স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার
যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। এরপর ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় নথি বা কাগজপত্র সংগ্রহ
করে ইতালি স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে হয়।
ইতালি স্টুডেন্ট ভিসার আবেদন করার জন্য বাংলাদেশে অবস্থিত ইতালির দূতাবাসে
যোগাযোগ করতে হবে। দূতাবাসে আবেদনপত্র জমা দেওয়ার পর অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিয়ে
ইন্টারভিউ বা সাক্ষাৎকার দিতে হয়। ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া এবং কাগজপত্র সব
ঠিক থাকলে স্টুডেন্ট ভিসার অনুমোদন পাওয়া যায়।
শিক্ষার্থীরা চাইলে স্বল্প খরচে নির্ভরযোগ্য কোনো এজেন্সির কাছ থেকে ভিসা
কনসালটেন্সি সেবা নিতে পারে। এছাড়া, যদি অভিজ্ঞ কোনো ব্যক্তি থাকেন, তবে তার
মাধ্যমেও ইতালির স্টুডেন্ট ভিসা প্রসেসিং করানো যেতে পারে।
ইতালি কৃষি ভিসা ২০২৬
ইউরোপের শেনজেন অন্তর্ভুক্ত একটি উন্নত দেশ হলো ইতালি। এই দেশে কৃষি কাজের
চাহিদা অনেক বেশি। এই কারণে ইতালি সরকার প্রতি বছর কৃষি ভিসা সার্কুলার
প্রকাশ করে কৃষি শ্রমিক নিয়োগ করে থাকে।
📌আরো পড়ুন👉ইতালি এগ্রিকালচার ভিসা খরচ কত দেখুন
বাংলাদেশে ইতালি এগ্রিকালচার ভিসা বেশ জনপ্রিয়। এই দেশে বিভিন্ন প্রকারের
কৃষি কাজ রয়েছে। অনেকেই ইতালি কৃষি ভিসা নিয়ে দেশটিতে যেতে আগ্রহী। কিন্তু
তারা ইতালি কৃষি ভিসা ২০২৬-এর আবেদন ফরম সঠিকভাবে পূরণ করতে পারেন না।
ইতালি কৃষি ভিসা পাওয়ার সহজ উপায়
বাংলাদেশ থেকে অনেকেই ইতালি কৃষি ভিসা নিয়ে ইউরোপের এই দেশে যেতে চায়। কৃষি
ভিসা লাভের জন্য ইতালি সরকার কর্তৃক নির্ধারিত নির্দিষ্ট তারিখেই ভিসার জন্য
আবেদন করতে হয়। ইতালি কৃষি ভিসা পেতে নুলস্তা নামের একটি অনুমতির প্রয়োজন
হয়। এই নুলস্তা পেতে হলে ইতালি থেকে কাজের অফার পাওয়া আবশ্যক। এরপরই ভিসার
প্রক্রিয়া শুরু করা যায়।
যদি এজেন্সির মাধ্যমে ইতালি কৃষি ভিসার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়, তবে ভিসার
জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এজেন্সির কাছে জমা দিতে হয়। এজেন্সিকে নির্ধারিত
ফি দিলে তারা আবেদনকারীর পক্ষে সমস্ত কাজ সম্পন্ন করে দেয়।
তবে ইতালিতে পরিচিত কেউ থাকলে, নিজে নিজেই ইতালি কৃষি ভিসার প্রক্রিয়া
সম্পন্ন করে দেশটিতে যাওয়া সম্ভব। এভাবে ইতালিতে যেতে তুলনামূলকভাবে খরচও
অনেক কম হয়।
ইতালি কৃষি ভিসা কি কি কাগজপত্র লাগে?
ইতালি এগ্রিকালচার ভিসা আবেদন করতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র লাগে। নিম্নে
উল্লেখিত কাগজপত্র ছাড়া ইতালি কৃষি ভিসা আবেদন করতে পারবেন না:
- পাসপোর্ট
- আবেদনকারীর পাসপোর্ট সাইজের ছবি
- জাতীয় পরিচয় পত্র
- নুলস্তা (ওয়ার্ক পারমিট)
- ইতালি কৃষি আবেদন ফরম
- জব অফার লেটার
- শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট (যদি লাগে)
- কাজের দক্ষতার সার্টিফিকেট
- কাজের অভিজ্ঞতার প্রমাণ
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স
- মেডিকেল রিপোর্ট
ইতালি কৃষি ভিসা ২০২৬ আবেদন ফরম
ইতালি সরকার যখন ইতালি এগ্রিকালচার ভিসা সার্কুলার প্রকাশ করে, তখন আগ্রহীদের
ভিসার জন্য আবেদন করতে হয়। এর জন্য ইতালি কৃষি ভিসা আবেদন ফরম প্রয়োজন হয়। এই
ফরমটি ভিএফএস গ্লোবাল এর ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করে প্রিন্ট করার পর তা পূরণ
করতে হয়।
ইতালি কৃষি ভিসা আবেদন ফরমটি সঠিকভাবে পূরণ করে ইতালি কৃষি ভিসা আবেদন
প্রক্রিয়া শেষ করতে হয়। যদি কোনো এজেন্সির মাধ্যমে ভিসার প্রক্রিয়া
সম্পন্ন করা হয়, তবে ভিসা আবেদন সম্পর্কিত যাবতীয় কাজ এজেন্সিই করে থাকে।
ইতালিতে বেতন কত?
ইতালিতে কাজের মজুরি বিভিন্ন বিষয়ের উপর নির্ভর করে, যেমন: কাজের ধরন,
ব্যক্তির দক্ষতা, অভিজ্ঞতা এবং ভাষা জ্ঞান ইত্যাদির কারণে তা ব্যক্তিভেদে
ভিন্ন হয়। বাংলাদেশ থেকে ইতালি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে যারা যেতে চান,
তাদের অবশ্যই ইতালিতে বেতন কাঠামো সম্পর্কে জেনে নেওয়া উচিত।
📌আরো পড়ুন👉বাংলাদেশ থেকে ইতালি বিমান ভাড়া কত
বর্তমানে ইতালিতে কাজের বেতন সাধারণত প্রায় ৮০০ ইউরো থেকে শুরু করে ৩৫০০
ইউরো পর্যন্ত হয়ে থাকে। অবৈধ প্রবাসীরা ইতালিতে তুলনামূলকভাবে অনেক কম বেতন
পান। তবে, বৈধ প্রবাসীরা সর্বনিম্ন বেতন কাঠামো অনুসারে যেকোনো কাজের মজুরি
পেয়ে থাকেন।
ইতালিতে কোন কাজের বেতন কত
ইতালি একটি উন্নত দেশ এবং এই দেশটি আরও অগ্রগতি সাধনের জন্য বিভিন্ন বড়
নির্মাণ কাজ পরিচালনা করে। তবে যখন কাজের চাহিদা অনুসারে শ্রমিকের সংখ্যা কম
থাকে, তখন ইতালি সরকার বিভিন্ন দেশ থেকে কাজের জন্য শ্রমিক নিয়োগ করে থাকে।
সাধারণত, আপনার কাজের বিভাগ (ক্যাটাগরি) এবং কাজের অভিজ্ঞতার ওপর বেতন
সম্পূর্ণভাবে নির্ভরশীল। আপনি যদি দক্ষ কোনো কাজ করতে পারেন, তাহলে বেতনও বেশি
পাবেন। এবার চলুন ইতালিতে কোন কাজের জন্য কত বেতন দেওয়া হয়, সে সম্পর্কে জেনে
নেওয়া যাক।
- ইতালিতে কনস্ট্রাকশন ভিসাধারীদের কাজের বেতন সাধারণত ৮০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা।
- কোম্পানি ভিসার ক্ষেত্রে ইতালিতে কাজের বেতন ৪০ হাজার থেকে ৮০ হাজার টাকা।
- ইতালিতে ড্রাইভিং ভিসার কাজের বেতন ৮০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা।
- রেস্টুরেন্ট ভিসাধারীদের কাজের বেতন ৭০ হাজার থেকে ৯০ হাজার টাকা।
- ক্লিনার ভিসার কাজের বেতন ৬০ হাজার থেকে ৭০ হাজার টাকা।
ইতালি কৃষি ভিসা বেতন কত
ইতালির অর্থনীতিতে কৃষি খাতের বিরাট ভূমিকা রয়েছে। ইউরোপের এই দেশটিতে নানা
ধরনের কৃষি কাজ দেখা যায়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো: ফল ও শাকসবজি চাষ, মৎস্য
চাষ, পশুপালন, দানাশস্য উৎপাদন এবং ওয়াইন তৈরি ইত্যাদি।
📌আরো পড়ুন👉ইতালি ভিসা আবেদন লিংক
বর্তমানে আপনারা যদি ইতালি কৃষি ভিসায় কাজের জন্য যান, তবে আপনাদেরকে
ঘণ্টা-প্রতি মজুরি দেওয়া হবে। কারণ অন্যান্য দেশের তুলনায় ইতালির নিয়ম
কিছুটা ভিন্ন, যেখানে ঘণ্টানুসারে কাজের বেতন দেওয়া হয়। যদি আপনারা নতুন
হিসেবে অর্থাৎ কোনো কাজের অভিজ্ঞতা ছাড়াই ইতালি কৃষি ভিসায় কাজ করতে যান,
তাহলে মাসে ৬০ হাজার থেকে ৭০ হাজার টাকার বেশি আয় করতে পারবেন।
তাছাড়া, যদি আপনাদের কৃষি কাজের উপর ভালো অভিজ্ঞতা থাকে এবং ওভারটাইম করেন,
তবে মাসে ৮০ হাজার থেকে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত উপার্জন করতে পারবেন।
তবে কাজের পুরো বেতনটাই আপনার কাজের উপর নির্ভরশীল, কেননা ইতালিতে ঘন্টা
চুক্তিতে বেতন দেওয়া হয় এবং আপনি যত বেশি ঘন্টা কাজ করবেন, আপনার ইনকাম তত
বাড়বে।
কৃষি কাজের প্রকারভেদ অনুসারে ইতালি কৃষি ভিসার বেতনের পরিমাণে পরিবর্তন আসে।
এছাড়াও, দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার কারণে ইতালি কৃষি ভিসার বেতনে পার্থক্য দেখা
যায়।
ইতালিতে শ্রমিকদের বেতন কত
বর্তমানে আমাদের বাংলাদেশ থেকে অনেকেই শ্রমিক হিসেবে ইতালিতে যেতে আগ্রহী।
যারা ইতালিতে শ্রমিক হিসেবে যেতে চাইছেন, তাদের অবশ্যই সেখানে শ্রমিকদের বেতন
কাঠামো সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। মূলত ইতালিতে বিভিন্ন ধরনের কাজের ভিত্তিতে
বেতন নির্ধারিত হয়।
কারণ একেক কাজে শ্রমিকদের বেতন একেক রকম হয়ে থাকে। আপনারা হয়তো জানেন যে
ইতালির মুদ্রাকে সাধারণত ইউরো বলা হয়। প্রতি মাসে একজন সাধারণ শ্রমিক ৮০০
ইউরো থেকে ১২০০ ইউরো পর্যন্ত উপার্জন করতে পারে। তবে এদের মধ্যে যারা পেশাদার
বা অভিজ্ঞ, তারা মাসে ১৫০০ ইউরো থেকে ২০০০ ইউরো পর্যন্ত আয় করতে সক্ষম।
এছাড়াও, বিভিন্ন কোম্পানির প্রকারভেদের কারণে একেক কোম্পানিতে বেতনের পরিমাণ
ভিন্নভাবে নির্ধারিত থাকে।
ইতালি কোন কাজের বেতন বেশি
ইতালিতে নানা ধরনের কাজের সুযোগ রয়েছে। দেশটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য
হওয়ায় এখানে সর্বনিম্ন বেতন কাঠামো নির্দিষ্ট করা আছে। বর্তমানে ইতালিতে
কনস্ট্রাকশন কাজের মজুরি বেশি। এছাড়াও, ড্রাইভিং, ক্লিনিং, প্লাম্বিং এবং
ইলেকট্রনিক কাজের বেতনও তুলনামূলকভাবে বেশি হয়ে থাকে।
📌আরো পড়ুন👉ইতালিতে কোন কাজের চাহিদা বেশি
বাঙালি প্রবাসীদের দৃষ্টিকোণ থেকে ইতালিতে যেসব কাজের বেতন বেশি, সেই
বিষয়গুলো এখানে উল্লেখ করা হলো। তবে ইতালীয় নাগরিকদের দৃষ্টিকোণ থেকে চিফ
এক্সিকিউটিভ অফিসারদের বেতন সবচেয়ে বেশি। এছাড়াও, পাইলট, বিভিন্ন পরিচালক
এবং ম্যানেজারদের বেতনও ইতালিতে বেশি হয়।
ইতালি সর্বনিম্ন বেতন কত?
ইতালি অনেক বাঙালি যুবকের কাছে একটি স্বপ্নের দেশ। পড়াশোনা বা কাজের জন্য এই
দেশে যেতে আগ্রহীদের ইতালি সর্বনিম্ন বেতন কত, সে সম্পর্কে ধারণা থাকা
প্রয়োজন। এটি ইউরোপের একটি সমৃদ্ধ দেশ এবং ইতালিতে কাজের মজুরি
তুলনামূলকভাবে বেশি।
ইউরোপের এই দেশে বৈধ ও অবৈধ উভয় ধরনের অভিবাসীর জন্যই কাজের সুযোগ রয়েছে।
এটি ইউরোপের শেনজেন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত একটি দেশ। বাংলাদেশ থেকে কাজের
উদ্দেশ্যে এই দেশে যেতে ইচ্ছুক তরুণ-তরুণীদের ইতালিতে সর্বনিম্ন বেতন কত, তা
জেনে নিতে হবে।
পাশাপাশি, ইতালিতে কোন কাজের মজুরি কেমন, সেটাও জানতে হবে। ইউরোপের
শেনজেনভুক্ত দেশ ইতালিতে কাজের সর্বনিম্ন বেতন কাঠামো সরকার দ্বারা নির্ধারিত
রয়েছে। ইতালিতে বৈধ অভিবাসীরা এই সর্বনিম্ন বেতন কাঠামো অনুযায়ী মজুরি
পাবেন।
বর্তমানে ইতালিতে সর্বনিম্ন বেতন প্রায় ১,৪০০ ইউরো। এই দেশে কাজের বেতন
প্রতি ঘণ্টা হিসাবে গণনা করা হয়। ইউরোপের এই দেশে কর্মীদের প্রতিদিন আট
ঘণ্টা বেসিক ডিউটি থাকে। ইতালিতে বৈধভাবে গিয়ে কাজ করলে প্রবাসীরা সর্বনিম্ন
প্রায় ১ লাখ টাকার বেশি বেতন পাবেন। ওভারটাইম কাজ করলে ইতালিতে কাজের বেতন
আরও বৃদ্ধি পাবে।
সাধারণ প্রশ্ন ও উত্তর (FAQs)
১. বাংলাদেশিদের জন্য কোন ধরনের ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়?
উত্তর: বাংলাদেশিদের মধ্যে সিজোনাল এবং নন-সিজোনাল ওয়ার্ক ভিসাই হলো
সর্বাধিক প্রচলিত।
২. ইতালি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়ার প্রধান দুটি ধাপ কী কী?
উত্তর: ভিসা পাওয়ার প্রধান দুটি ধাপ হলো: নিয়োগকর্তার আবেদন ইতালি থেকে
Nulla Osta-এর জন্য আবেদন এবং ভিসা আবেদন বাংলাদেশে VFS Global অফিসে।
৩. ভিসা অনুমোদনের পর ইতালিতে পৌঁছে কর্মীদের কী করতে হয়?
উত্তর: ইতালিতে পৌঁছানোর পর ৮ দিনের মধ্যে স্থানীয় পুলিশ স্টেশনে Permesso
di Soggiorno (রেসিডেন্স পারমিট বা বাসস্থান/বাসিন্দা অনুমতি)-এর জন্য আবেদন
করতে হয়।
৪. ইতালিতে কোন কোন কাজে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার চাহিদা বেশি?
উত্তর: ইতালিতে কৃষি, কনস্ট্রাকশন, ড্রাইভিং, ক্লিনিং, প্লাম্বিং, এবং
ইলেকট্রনিক কাজের চাহিদা বেশি থাকে।
৫. ইতালি ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করতে কী কী শর্ত পূরণ করতে হয়?
উত্তর: প্রধান শর্তগুলোর মধ্যে রয়েছে: ইতালীয় নিয়োগকর্তার কাছ থেকে কাজের
অফার লেটার, Nulla Osta প্রাপ্তি, বৈধ পাসপোর্ট, এবং প্রয়োজনীয় আর্থিক
সঙ্গতির প্রমাণ।
৬. ভিসা প্রক্রিয়ায় প্রতারণা এড়াতে কী কী সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত?
উত্তর: প্রতারণা এড়াতে লাইসেন্সপ্রাপ্ত ও বিশ্বস্ত এজেন্সির মাধ্যমে কাজ
করা, কোনো ধরনের অগ্রিম বা অতিরিক্ত টাকা না দেওয়া, এবং সব ধরনের লেনদেনের
রসিদ বা প্রমাণপত্র সংরক্ষণ করা উচিত।
৭. ইতালিতে সর্বনিম্ন বেতন কাঠামো কেমন এবং একজন শ্রমিক সাধারণত কত ইউরো আয়
করতে পারে?
উত্তর: বর্তমানে ইতালিতে কাজের সর্বনিম্ন বেতন প্রায় ১,৪০০ ইউরো। একজন
সাধারণ শ্রমিক অভিজ্ঞতা অনুযায়ী প্রতি মাসে প্রায় ৮০০ ইউরো থেকে ২০০০ ইউরো
পর্যন্ত উপার্জন করতে পারে।
৮. ইতালি ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করার সময় ভিসা স্ট্যাটাস কীভাবে
চেক করা যায়?
উত্তর: ভিসা স্ট্যাটাস নিয়মিত চেক করার জন্য ভিএফএস গ্লোবাল এর ওয়েবসাইট বা
ইতালি ভিসা চেক পেজে যোগাযোগ করতে হয়।
লেখকের শেষ মতামত
বাংলাদেশিদের জন্য ইতালি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৬ একটি দারুণ কর্মসংস্থানের
সুযোগ। সঠিক পদ্ধতি মেনে এবং বৈধ এজেন্সির মাধ্যমে আবেদন করলে এই ভিসা সহজে
পাওয়া যেতে পারে। ইতালীয় ভাষা শিখে এবং নিজেদের কাজের দক্ষতা বাড়িয়ে তুললে
আপনি উচ্চ বেতনের সুযোগ লাভ করবেন। প্রতারণা এড়াতে সর্বদা সতর্ক থাকুন এবং
আপনার ভিসার বর্তমান অবস্থা নিয়মিত পরীক্ষা করুন।
আরিফুল প্লাস এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url