কাতার ভিসা দাম কত ২০২৬ - কাতার যেতে কত বছর বয়স লাগে
বাংলাদেশ থেকে অনেক মানুষ কাতারে যেতে আগ্রহী। কাতার হলো আরব সাগরের তীরে অবস্থিত
একটি ছোট মুসলিম দেশ। যারা এই দেশে যেতে চান, তাদের অবশ্যই কাতারের ভিসার দাম কত
তা জেনে রাখা প্রয়োজন। কাতারের অর্থনীতি প্রধানত তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের ওপর
নির্ভরশীল।
এই প্রাকৃতিক সম্পদের ওপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠা কাতারে বিভিন্ন খাতে প্রচুর কাজের
সুযোগ রয়েছে। প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে হাজার হাজার শ্রমিক সরকারি এবং বেসরকারি
উভয়ভাবেই এই দেশে পাড়ি জমাচ্ছেন। এই দেশে যেতে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের কাতারের ভিসার
দাম সম্পর্কে ধারণা রাখতে হয়।
এছাড়াও, কাতার ভিসা প্রসেসিং, কাতার যেতে কত বছর বয়স লাগে এবং ভিসার জন্য
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র কী কী, সেই বিষয়গুলোও জেনে নেওয়া আবশ্যক।
কাতার ভিসা দাম কত
কাতার আরব উপদ্বীপের পূর্ব উপকূলে অবস্থিত একটি পারস্য উপসাগরীয় দেশ। কাতারকে
একটি মুসলিম রাষ্ট্র বলা হয়। কাতারের দক্ষিণ দিকে রয়েছে সৌদি আরব এবং পশ্চিম
পাশে রয়েছে দ্বীপ রাষ্ট্র বাহরাইন। কাতারের নিজস্ব গুরুত্বপূর্ণ পণ্য হলো খনিজ
তেল এবং গ্যাস সম্পদ।
📌আরো পড়ুন👉সরকারি ভাবে কাতারে যেতে কত টাকা লাগে
এছাড়াও কাতারে বিভিন্ন ধরনের কাজের জন্য শ্রমিকের চাহিদা রয়েছে। এজন্য প্রতি
বছরের শুরুতে কাতার বিভিন্ন দেশ থেকে কর্মী নিয়োগ করে থাকে। বাংলাদেশের হাজারো
মানুষ রয়েছে যারা কাতারে কাজের জন্য যেতে আগ্রহী, তবে তারা কাতারের ভিসার দাম
কত এবং সেখানে বেতন কেমন, সেই বিষয়ে অবগত নন।
যে কোনো ব্যক্তি কাজের উদ্দেশ্যে অন্য দেশে যাওয়ার আগে সেই দেশের ভিসার দাম
এবং বেতন সম্পর্কে জানতে চান। এজন্য কাতারে যাওয়ার আগেও আপনার অবশ্যই কাতার
ভিসার দাম কত তা জেনে নেওয়া উচিত। বাংলাদেশের হাজারো মানুষ কাতারে কাজের জন্য
যেতে ইচ্ছুক, কিন্তু তারা কাতার ভিসার দাম কত বা ভিসা করতে কত খরচ হয়, তা
সঠিকভাবে জানেন না।
এছাড়াও অনেক লোক আছেন যারা কাতারে ভ্রমণের জন্য যেতে চান। তবে কাতারে যাওয়ার
আগে অবশ্যই আপনার যেকোনো একটি ক্যাটাগরির ভিসা থাকতে হবে। আর ভিসার ক্যাটাগরি
অনুযায়ীই কাতার ভিসার দাম কত, তা নির্ধারণ করা হয়।
যদি আপনি নিজের উদ্যোগে কাতার যেতে চান, তাহলে আপনার ৪ লক্ষ থেকে ৭ লক্ষ টাকার
মতো খরচ হতে পারে। এছাড়া, আপনি দালাল অথবা এজেন্সির মাধ্যমে কাতারের ভিসার দাম
কত তা জেনে নিয়ে যেকোনো ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন। যদি কাতারে আপনার কোনো
আত্মীয়-স্বজন বা কাছের মানুষ থাকে, তাহলে সরকারিভাবে তুলনামূলকভাবে খুব অল্প
টাকায় ভিসা করিয়ে নিতে পারবেন।
কাতার কোম্পানি ভিসা খরচ কত
প্রতি বছরের শুরুতেই কাতারের সরকারি এবং বেসরকারি কোম্পানিগুলো কাজের জন্য
শ্রমিক নিয়োগ দিয়ে থাকে। বর্তমানে কাতারে তেল এবং গ্যাস কোম্পানির সংখ্যা
সবচেয়ে বেশি। আর এই কোম্পানিগুলোতে প্রতি বছরই কাজের জন্য লোক নেওয়া হয়।
📌আরো পড়ুন👉কাতার কোম্পানি ভিসা বেতন কত
এছাড়াও, বাংলাদেশের হাজারো মানুষ রয়েছে যারা কাতার কোম্পানি ভিসায় যেতে
চাচ্ছে কিন্তু ভিসা খরচের বিষয়ে অবগত নয়। আপনি যদি কাতারে কোম্পানি ভিসায়
কাজের জন্য যেতে চান, তাহলে আপনার সর্বনিম্ন ৫ লক্ষ থেকে ৫ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা
পর্যন্ত খরচ হতে পারে।
কাতার কাজের ভিসা খরচ কত
বাংলাদেশের হাজারো মানুষ রয়েছেন যারা বেশি টাকা রোজগারের জন্য একেক জন একেক
দেশে পাড়ি জমান। কাতার একটি অত্যন্ত উন্নত দেশ হওয়ায় সেখানে সব ধরনের
কাজকর্মে অনেক সুবিধা পাওয়া যায়। এ কারণে বাংলাদেশের অনেক মানুষই এজেন্সির
মাধ্যমে কাতারে কাজের ভিসার জন্য আবেদন করতে চান।
কিন্তু তাদের কাতার কাজের ভিসার খরচ সম্পর্কে কোনো ধারণা নেই। তাই এখন আপনাদের
কাতার ভিসার দাম কত বা কাতার কাজের ভিসার খরচ কত, সেই বিষয়ে একটি ধারণা দেওয়া
হবে। বর্তমানে আপনি যদি কাতারের একটি কাজের ভিসা তৈরি করতে চান, তাহলে আপনার
সর্বমোট ৪ লক্ষ টাকা থেকে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে।
কাতার ফ্রি ভিসা খরচ কত
বর্তমানে বাংলাদেশের অনেক মানুষ আছেন যারা কাতারের ফ্রি ভিসা করতে আগ্রহী। কারণ
ফ্রি ভিসায় সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যায়। ফ্রি ভিসাতে নির্দিষ্ট কোনো
কাজ থাকে না; আপনি আপনার ইচ্ছা মতো যেকোনো কাজ করতে পারবেন।
তবে কাতারের অন্যান্য ভিসার চেয়ে ফ্রি ভিসার খরচ কিছুটা বেশি হয়। কিন্তু ফ্রি
ভিসায় কাতার গেলে আপনি প্রতি মাসে তুলনামূলকভাবে বেশি টাকা আয় করতে পারবেন।
বর্তমানে আপনি যদি কাতারের ফ্রি ভিসায় যেতে চান, তাহলে আপনার ৫ লক্ষ থেকে ৭
লক্ষ টাকার মতো খরচ হতে পারে।
কাতার ড্রাইভিং ভিসা খরচ কত
বাংলাদেশের হাজারো মানুষ রয়েছেন যারা কাতারে ড্রাইভিং ভিসায় যেতে চান। কারণ
বাংলাদেশে ড্রাইভিং করে যে পরিমাণ টাকা আয় করা যায়, তার চেয়ে দ্বিগুণ টাকা
কাতারে ড্রাইভিং করে উপার্জন করা সম্ভব। এছাড়াও, কাতারে ড্রাইভিং ভিসায়
তুলনামূলক অল্প পরিশ্রমে অনেক টাকা আয় করা যায়।
তাই এখন আপনাদের জানানো হবে কাতার ড্রাইভিং ভিসার খরচ কত। বর্তমানে বাংলাদেশের
কোনো এজেন্সির মাধ্যমে কাতারের ড্রাইভিং ভিসা করতে চাইলে আপনার ৫ লক্ষ থেকে ৬
লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে।
কাতার রেস্টুরেন্ট ভিসা খরচ কত
বর্তমানে কাতারে রেস্টুরেন্ট ভিসার চাহিদা অনেক বেশি। প্রতি বছরই কাতারের
রেস্টুরেন্টগুলো অভিজ্ঞ কর্মী নিয়োগের জন্য লোক নিয়ে থাকে। এছাড়াও,
রেস্টুরেন্টের শ্রমিকদের বেশ ভালো বেতন দেওয়া হয়, তবে কাজের পদ অনুযায়ী
বেতনের পরিমাণ কম বা বেশি হয়ে থাকে।
📌আরো পড়ুন👉 কাতার রেস্টুরেন্ট ভিসা বেতন কত
যদি আপনি কাতারের ভিসার দাম কত তা জেনে নিয়ে রেস্টুরেন্ট ভিসা করতে চান, তবে
আপনাকে বাংলাদেশের কোনো এজেন্সির মাধ্যমে ভিসা করতে হবে। বর্তমানে কাতারের
রেস্টুরেন্ট ভিসা করতে চাইলে আপনার ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা থেকে ৫ লক্ষ টাকা
পর্যন্ত খরচ হতে পারে।
কাতার টুরিস্ট ভিসা খরচ কত
বাংলাদেশের হাজারো মানুষ রয়েছেন যারা কাতারে ভ্রমণের উদ্দেশ্যে যেতে চান,
কিন্তু তাদের কাতার টুরিস্ট ভিসা বা ভিজিট ভিসার খরচ কত তা জানা থাকে না।
বর্তমানে আপনি যদি কাতারে ভ্রমণ করতে চান, তাহলে প্রথমে আপনাকে কাতারের ভিজিট
ভিসা নিতে হবে।
তাই এখন আপনাদের জানানো হবে কাতার টুরিস্ট ভিসার খরচ কত। বর্তমানে আপনি যদি
কাতারের ভিজিট ভিসা অথবা টুরিস্ট ভিসায় যেতে চান, তাহলে সব খরচ মিলিয়ে আপনার
২ লক্ষ থেকে ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে।
কাতার যেতে কত বছর বয়স লাগে
বাংলাদেশ থেকে অনেকেই কাজের উদ্দেশ্যে কাতারে যেতে চান। তবে তাদের মধ্যে
অনেকেরই জানা থাকে না যে কাতার যেতে হলে কত বছর বয়স হতে হয়। যারা কাতার যেতে
চাচ্ছেন, তাদের অবশ্যই এই বিষয়ে জেনে রাখা দরকার।
কারণ কাতার যেতে কত বছর বয়স লাগে, সে বিষয়ে যদি আপনার ধারণা না থাকে, তাহলে
ভিসা আবেদনের সময় আপনি সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। এজন্য সবার সুবিধার জন্য
কাতার যেতে কত বছর বয়স লাগে, তা এখন আপনাদের কাছে তুলে ধরা হবে। বর্তমানে
কাতার যেতে হলে আপনার সর্বনিম্ন ১৮ বছর বয়স থাকতে হবে এবং সর্বোচ্চ ৫৫ বছর
বয়স পর্যন্ত যাওয়া যেতে পারে।
কাতার যেতে কি কি কাগজপত্র লাগে
বাংলাদেশের অনেক মানুষ রয়েছেন যারা কাতারে কাজের জন্য যেতে চাইছেন, কিন্তু
কাতারের ভিসা কীভাবে করতে হয়, সেই বিষয়ে তাদের কোনো ধারণা নেই। তবে কাতারের
ভিসা করতে চাইলে আপনাদের অবশ্যই কিছু দরকারি কাগজপত্রের প্রয়োজন হবে।
এছাড়াও, যদি আপনার এই বিষয়ে ধারণা না থাকে, তাহলে কাতারের যেকোনো ভিসা করার
সময় আপনি সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। তাই সবার সুবিধার জন্য কাতার যেতে কী কী
কাগজপত্র লাগে, তা নিচে উল্লেখ করে দেওয়া হলো:
📌আরো পড়ুন👉কাতারে কোন কাজের বেতন বেশি?
- একটি বৈধ পাসপোর্ট।
- এনআইডি কার্ড বা জন্ম নিবন্ধন এর ফটোকপি।
- লিগেল আইডেন্টিটি ডকুমেন্টস।
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট।
- মেডিকেল সার্টিফিকেট।
- করোনা ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট।
- আপনার সব ধরনের কাগজপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি ইত্যাদি।
বাংলাদেশ থেকে কাতার যাওয়ার উপায়
বাংলাদেশের হাজার হাজার মানুষ আছেন যারা কাজের জন্য কাতার যেতে চাইছেন, কিন্তু
তারা কীভাবে কাতার যাবেন সে বিষয়ে জানেন না। কাতারে যাওয়ার জন্য আপনার অবশ্যই
একটি বৈধ পাসপোর্ট এবং কাতারের ভিসা থাকতে হবে।
এছাড়াও, আপনারা যারা এখনো কাতারের ভিসা করেননি, তারা বাংলাদেশের কোনো এজেন্সির
মাধ্যমে কাতারের যেকোনো ভিসা তৈরি করে নিতে পারেন। যদি কাতারে আপনার কোনো কাছের
মানুষ বা আত্মীয়-স্বজন থাকেন, তাহলে আপনি তুলনামূলকভাবে খুব অল্প টাকায় কাতার
যেতে পারবেন।
কাতার ভিসা প্রসেসিং করার নিয়ম
কাতার ভিসা সাধারণত দু'ভাবে প্রসেস করা যায় যথা সরকারিভাবে ও বেসরকারিভাবে।ত
আপনি যদি সরকারিভাবে কাতারে যেতে চান, তবে বাংলাদেশ থেকে বোয়েসেলের মাধ্যমে
ভিসা প্রসেসিং সম্পন্ন করতে পারবেন। অন্যদিকে, বেসরকারিভাবে বিভিন্ন এজেন্সি বা
দালালের মাধ্যমে ভিসা প্রসেসিং করা সম্ভব। তবে নিজে নিজে ভিসা প্রসেসিং করতে
হলে কাজের অফার লেটার থাকা জরুরি।
ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করে আপনি কোনো এজেন্সির মাধ্যমে প্রসেসিং
করাতে পারেন। আবার, কেউ চাইলে সরাসরি কাতার দূতাবাসে গিয়েও নিজে নিজে ভিসা
আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারবেন।
ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:
- পাসপোর্ট
- ভোটার আইডি কার্ড
- পাসপোর্ট সাইজের ছবি
- শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট
- কাজের দক্ষতার সার্টিফিকেট
- কাজের অভিজ্ঞতার সার্টিফিকেট
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স
- মেডিকেল রিপোর্ট সার্টিফিকেট
বাংলাদেশ থেকে কাতার বিমান ভাড়া কত
এখন আপনাদের জানানো হবে বাংলাদেশ থেকে কাতার বিমান ভাড়া কত হতে পারে। সাধারণত
বাংলাদেশ থেকে কাতার যাওয়ার জন্য আপনি দুই ধরনের ক্লাস পাবেন একটি হলো ইকোনমি
ক্লাস এবং অন্যটি হলো বিজনেস ক্লাস।
ইকোনমি ক্লাসের চেয়ে বিজনেস ক্লাসের বিমান ভাড়া তুলনামূলকভাবে বেশি থাকে, কারণ
বিজনেস ক্লাসে বাড়তি সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়। এই কারণে অনেকে বাংলাদেশ থেকে
কাতার বিমান ভাড়া কত, তা জানার জন্য অনলাইনে অনুসন্ধান করেন। সবার সুবিধার কথা
মাথায় রেখে এখন বাংলাদেশ থেকে কাতার বিমান ভাড়া কত টাকা তা তুলে ধরা হবে।
📌আরো পড়ুন👉কাতারে কোন কাজের চাহিদা বেশি?
- বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ইকোনমিক ক্লাস বিমান ভাড়া ৫০,০০০ থেকে ৭৫,০০০ টাকা।
- বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স বিজনেস ক্লাস বিমান ভাড়া ১,৫০,০০০ থেকে ১,৭৫,০০০ টাকা।
- শ্রীলংকান এয়ারলাইন্স ইকোনমিক ক্লাস বিমান ভাড়া ৪৮,০০০ থেকে ৬০,০০০ টাকা ।
- শ্রীলংকান এয়ারলাইন্স বিজনেস ক্লাস বিমান ভাড়া হচ্ছে ৭৫,০০০ থেকে ৯৫,০০০ টাকা।
- মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্স ইকোনমিক ক্লাস বিমান ভাড়া ৪৫,০০০ থেকে ৭৫,০০০ টাকা ।
- মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্স বিজনেস ক্লাস বিমান ভাড়া ১,৩৮,০০০ থেকে ২,৩৪,০০০ টাকা।
- ইন্ডিগো এয়ারলাইন্স ইকোনমিক ক্লাস বিমান ভাড়া হচ্ছে ৪৫,০০০ থেকে ৫৫,০০০ টাকা।
- ইন্ডিগো এয়ারলাইন্স বিজনেস ক্লাস বিমান ভাড়া ৬০,০০০ থেকে ৭৫,০০০ টাকা।
- সালাম এয়ারলাইন্স ইকোনমিক ক্লাস বিমান ভাড়া হচ্ছে ৩৮,০০০ থেকে ৪৯,০০০ টাকা।
- সালাম এয়ারলাইন্স বিজনেস ক্লাস বিমান ভাড়া ৫২,০০০ থেকে ৫৫,০০০ টাকা।
- সৌদি আরাবিয়ান ইকোনমিক ক্লাস বিমান ভাড়া ৫৫,০০০ থেকে ৮০,০০০ টাকা।
- সৌদি আরাবিয়ান এয়ারলাইন্স বিজনেস ক্লাস বিমান ভাড়া ১,১৫,০০০ থেকে ১,৪৫,০০০ টাকা।
- ইমিরেটস এয়ারলাইন্স ইকোনমিক ক্লাস বিমান ভাড়া ৯২,০০০ থেকে ৯৮,০০০ টাকা।
- ইমিরেটস এয়ারলাইন্স বিজনেস ক্লাস বিমান ভাড়া ১,২০,০০০ থেকে ১,৫০,০০০ টাকা।
- ইতিহাদ এয়ারওয়েজ ইকোনমিক ক্লাস বিমান ভাড়া ৫৪,০০০ থেকে ৬৫,০০০ টাকা।
- ইতিহাদ এয়ারওয়েজ বিজনেস ক্লাস বিমান ভাড়া ১,০৫,০০০ থেকে ১,৩০,০০০ টাকা।
- কুয়েত এয়ারওয়েজ ইকোনমিক ক্লাস বিমান ভাড়া ৬৫,০০০ থেকে ৮৬,০০০ টাকা।
- কুয়েত এয়ারওয়েজ বিজনেস ক্লাস বিমান ভাড়া ১,৫৬,০০০ থেকে ২,২৪,০০০ টাকা।
- কাতার এয়ারওয়েজ ইকোনমিক ক্লাস বিমান ভাড়া ৫৬,০০০ থেকে ৭০,০০০ টাকা।
- কাতার এয়ারওয়েজ বিজনেস ক্লাস বিমান ভাড়া ৯৮,০০০ থেকে ১,২৫,০০০ টাকা।
বাংলাদেশ থেকে কাতার যেতে কত সময় লাগে
যারা বাংলাদেশ থেকে কাতার যেতে চান, তাদের অনেকেরই জানার আগ্রহ থাকতে পারে যে
এই ভ্রমণে কত সময় লাগে। বর্তমানে অনলাইন যুগে অনেকেই এই তথ্য জানার জন্য
ইন্টারনেটে অনুসন্ধান করে থাকেন।
তাই সবার সুবিধার জন্য বাংলাদেশ থেকে কাতার যেতে কত সময় লাগে, তা এখন সংক্ষেপে
তুলে ধরা হবে। বাংলাদেশ থেকে কাতার যেতে সর্বনিম্ন ৫ ঘণ্টা ৩০ মিনিট থেকে
সর্বোচ্চ ৬ ঘণ্টা পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।
বাংলাদেশ থেকে কাতারের দূরত্ব কত
বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে যারা কাজের উদ্দেশ্যে কাতার যেতে চান, তাদের অনেকের
মনেই প্রশ্ন জাগতে পারে যে বাংলাদেশ থেকে কাতার কত কিলোমিটার বা এর দূরত্ব কত।
এই দূরত্ব জানার জন্য অনেকেই অনলাইনে অনুসন্ধান করেন।
তাই সবার সুবিধার কথা বিবেচনা করে এখন আপনাদের জানানোর চেষ্টা করব বাংলাদেশ
থেকে কাতার কত কিলোমিটার বা এর দূরত্ব কত। বাংলাদেশ থেকে কাতারের মোট দূরত্ব
হলো ৩৯৫১ কিলোমিটার। এটিকে মাইল হিসাবে হিসাব করলে দূরত্ব দাঁড়ায় ২৪৫০ মাইল।
কাতার ভিসা সেন্টার বাংলাদেশ
বাংলাদেশে কাতার ভিসার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য দুটি প্রধান কেন্দ্র রয়েছে।
এদের মধ্যে একটি হলো ঢাকাতে এবং অন্যটি সিলেটে অবস্থিত।
১. ঢাকা ভিসা সেন্টার
- লোকেশন: রূপায়ন ট্রেড সেন্টার, ৪র্থ তলা, কাজী নজরুল ইসলাম রোড, ঢাকা 1000
- ফোন নম্বর: +8809666777101
- ওয়েবসাইট: Qatar Visa Center
- কাজের সময়: রবিবার – বৃহস্পতিবার: 8:30 AM – 4:30 PM
২. সিলেট ভিসা সেন্টার
- লোকেশন: উপশহর পয়েন্ট, এবি ব্যাংকের বিপরীতে, সিলেট
- ফোন নম্বর: +8809666777101
- ওয়েবসাইট: Qatar Visa Center
- কাজের সময়: রবিবার – বৃহস্পতিবার: 8:30 AM – 4:30 PM
সাধারণ প্রশ্ন ও উত্তর (FAQs)
প্রশ্ন: কাতারের কাজের ভিসা বা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার মোট খরচ কত হতে পারে?
উত্তর: কাজের ভিসার মোট খরচ ভিসার ধরন ও এজেন্সির ওপর নির্ভর করে।
সাধারণভাবে, এই খরচ ৫ লাখ থেকে ৭ লাখ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। উন্নত বা
কোম্পানির সরাসরি ভিসার ক্ষেত্রে খরচ ৮ লাখ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
প্রশ্ন: সরকারিভাবে কাতার যেতে আনুমানিক খরচ কত?
উত্তর: সরকারি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কাতার যেতে খরচ সবচেয়ে কম। এটি
সাধারণত ২ লাখ থেকে ৩ লাখ টাকা-এর মধ্যে থাকতে পারে।
প্রশ্ন: কাতারের টুরিস্ট ভিসার খরচ কেমন?
উত্তর: ভ্রমণের উদ্দেশ্যে টুরিস্ট ভিসার খরচ কাজের ভিসার তুলনায় কম।
মোট খরচ প্রায় ৩ লাখ টাকা হতে পারে। কাতারের সরকারি তথ্য অনুযায়ী, শুধু
ভিসার ফি বাবদ প্রায় ১০০ রিয়াল (প্রায় $২৭) লাগতে পারে, তবে এজেন্সি ফি
যোগ হয়।
প্রশ্ন: বিভিন্ন কাজের ভিসার ক্ষেত্রে (যেমন ক্লিনার, ড্রাইভিং) খরচ
কেমন হয়?
উত্তর: ক্লিনার, ফ্যাক্টরি, গার্মেন্টস, ফুড সার্ভিস বা ড্রাইভিং ভিসার
মতো সাধারণ কাজের ভিসায় যেতে প্রায় ৫ লাখ থেকে ৭ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে
পারে।
প্রশ্ন: কাতার যাওয়ার মোট খরচ কেন নির্দিষ্ট করে বলা যায় না?
উত্তর: মোট খরচ নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব হয় না কারণ এটি ভিসার
প্রকারভেদ (চাকরি, ব্যবসা, ভ্রমণ), ভিসার মেয়াদ, যাতায়াত খরচ, দালাল বা
এজেন্সির ফি এবং ডলারের বিনিময় হারের ওঠানামার ওপর নির্ভর করে।
প্রশ্ন: বিজনেস ভিসার মাধ্যমে কাতার যেতে কত টাকা লাগতে পারে?
উত্তর: ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে কাতারে যেতে বিজনেস ভিসার মোট খরচ সাধারণত
৪ লাখ থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। বেসরকারি সংস্থা থেকে এই ভিসার
আবেদন করতে হয় বলে খরচ বেশি হয়।
প্রশ্ন: কম খরচে কাতার যাওয়ার প্রধান উপায় কী?
উত্তর: সবচেয়ে কম খরচে কাতার যাওয়ার প্রধান উপায় হলো বাংলাদেশ
সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন বোয়েসেল-এর মাধ্যমে যখন কাতারের সরকারের পক্ষ থেকে
নিয়োগ দেওয়া হয়, তখন আবেদন করা।
প্রশ্ন: কাতারের স্টুডেন্ট ভিসার জন্য খরচ কেমন?
উত্তর: স্টুডেন্ট ভিসার ক্ষেত্রে নামমাত্র খরচে কাতার যাওয়া যেতে পারে।
শুধুমাত্র ভিসার দাম প্রায় ২ লাখ টাকা এবং আনুষঙ্গিক খরচ মিলিয়ে মোট প্রায় ৩
লাখ টাকা-এর মধ্যে থাকতে পারে।
প্রশ্ন: ভিসার খরচ বেশি হওয়ার কারণ কী?
উত্তর: ভিসা খরচ বেড়ে যাওয়ার মূল কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে ডলারের
বিনিময় হার বৃদ্ধি, ভিসা প্রক্রিয়াকরণ ও যাতায়াত খরচ বৃদ্ধি এবং দালাল বা
মধ্যস্থতাকারীর মাধ্যমে গেলে তাদের অতিরিক্ত চার্জ।
প্রশ্ন: ভিসার খরচ কমানোর সবচেয়ে ভালো উপায় কী?
উত্তর: খরচ কমানোর সবচেয়ে ভালো উপায় হলো দালাল পরিহার করে সরাসরি ভালো
ও বিশ্বস্ত রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে অথবা সরকারিভাবে আবেদন করা এবং
নিয়োগকারী কোম্পানি সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নেওয়া।
লেখকের শেষ মতামত
আজকের এই পোস্টে কাতার ভিসার দাম কত, কাতার যেতে কত বছর বয়স লাগে এবং
বিভিন্ন ধরনের কাতার ভিসার দামসহ আরও কিছু তথ্য আপনাদের জানানোর চেষ্টা করা
হয়েছে। আশা করি, আপনারা কাতার ভিসার দাম কত অথবা কত টাকা খরচ হতে পারে সে
বিষয়ে জানতে পেরেছেন।
আরিফুল প্লাস এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url