কাতার যেতে কত টাকা লাগে - কাতারে সর্বনিম্ন বেতন কত ২০২৬

এশিয়া মহাদেশের দেশগুলোতে তুলনামূলকভাবে কম খরচে যাওয়া যায়। এই কারণেই বর্তমানে বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষ কাজের সন্ধানে কাতার যেতে আগ্রহী। যদিও সম্প্রতি কাতার যাওয়ার খরচ কিছুটা বেড়েছে। এখন প্রায় ৫ থেকে ৭ লাখ টাকা খরচ করে কাতারে যাওয়া যেতে পারে।
কাতার যেতে কত টাকা লাগে
ডলারের বিনিময় হার বৃদ্ধি পাওয়ায় ভিসা এবং যাতায়াত খরচ দুটোই বেড়েছে। আপনি বিভিন্ন উদ্দেশ্যে কাতারে যেতে পারেন, যেমন: চাকরি, ভ্রমণ, চিকিৎসা, ব্যবসা এবং আরও কয়েকটি ক্যাটাগরির ভিসায়।

আপনি ঠিক কী কারণে কাতার যাবেন, তার ওপর নির্ভর করে আপনাকে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। কাতারে যেতে আপনার আনুমানিক কত টাকা খরচ হবে এবং খরচের পরিমাণ কেমন, সেই সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিয়ে তারপর ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করা উচিত।
পোষ্ট সূচিপত্রঃ

কাতারে যেতে কত টাকা লাগে

আসলে কাতারে যেতে আপনার কমপক্ষে ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে। তবে এই খরচ নির্দিষ্ট করে বলা যায় না, কারণ আপনার মোট কত টাকা খরচ হবে তা নির্ভর করবে আপনার ভিসার ধরনের উপর। কিছু ভিসা আছে যা উন্নত মানের এবং সেগুলোর খরচ স্বাভাবিকভাবেই একটু বেশি হয়, আবার কিছু ভিসা তুলনামূলকভাবে কম খরচেই পাওয়া যায়।
অনেক সময় দেখা যায়, আপনি যদি কোনো দালালের মাধ্যমে কাতারে যান, সেক্ষেত্রে আপনার খরচ অনেকটাই বেড়ে যেতে পারে। এর কারণ হলো, দালালরা বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমে আপনাকে পাঠানোর ব্যবস্থা করবে এবং এর বিনিময়ে তারা বেশি টাকা দাবি করে।

অন্যদিকে, আপনি যদি নিজে সরাসরি কোনো নির্ভরযোগ্য এজেন্সির সাথে যোগাযোগ করে যেতে পারেন, তবে আপনার খরচ অনেকটাই কম হবে। এই অবস্থায় সুনির্দিষ্টভাবে বলা সম্ভব নয় যে কাতারে যেতে আসলে কত টাকা খরচ হবে।

এই খরচ সম্পূর্ণভাবে আপনার উপর নির্ভর করবে যে আপনি কোন পদ্ধতিতে কাতারে যেতে চান। অনেক সময় দেখা যায়, মানুষ বিভিন্ন দালালের মাধ্যমে বিদেশে যায়, যার ফলে তাদের খরচ অনেক বেড়ে যেতে পারে।

সুতরাং, আপনি যদি বিদেশে যেতে চান, তবে অবশ্যই নিজে থেকে এজেন্সি খুঁজে বের করুন এবং আপনার পছন্দমতো ভালো কোম্পানি নির্বাচন করে বিদেশে যান। এতে আপনার খরচ কম হবে এবং আপনি একটি ভালো কোম্পানিতে গিয়ে স্বাচ্ছন্দ্যে কাজ করতে পারবেন।

ভ্রমণের জন্য কাতার যেতে কত টাকা লাগে

বিদেশি নাগরিকদের যেকোনো দেশে ভ্রমণের জন্য সাধারণত টুরিস্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে হয়। পর্যটকদের জন্য আলাদা এই ভিসাটি দেওয়া হয়, যার মাধ্যমে একজন বিদেশি নাগরিক কেবল ভ্রমণের উদ্দেশ্যেই সেই দেশে প্রবেশ করতে পারেন। কাতারে পর্যটকদের জন্য ঘোরার মতো অনেক সুন্দর স্থান রয়েছে।

পর্যটকদের আগমনের মাধ্যমে এই দেশটি অর্থনৈতিকভাবে বেশ সমৃদ্ধ হয়েছে। কাতারের ভিজিট ভিসার খরচ তুলনামূলকভাবে বেশ কম। যার কারণে, শুধু ভ্রমণের উদ্দেশ্যে কাতার যেতে মাত্র ৩ লাখ টাকার মতো খরচ হতে পারে।

আপনার ভিসার মেয়াদ কত দিনের হবে এবং আপনি কাতারে কতদিন ধরে ভ্রমণ করবেন, তার ওপর নির্ভর করে ভিসার খরচ কম বা বেশি হতে পারে। যদি পরিবার নিয়ে ভ্রমণে যান, তবে পরিবারের সকলের জন্যই আলাদাভাবে ভিসা তৈরি করতে হবে।

কাজের জন্য কাতারে যেতে কত টাকা লাগে

কাতার যাওয়ার মূল উদ্দেশ্য হলো একটি ভালো মানের কাজ খুঁজে নেওয়া। যে সকল বাংলাদেশি কাতারে আসেন, তাদের প্রায় ৯০ শতাংশই আসেন মূলত চাকরি বা কাজের সন্ধানে। কাতারে কাজের মান বেশ উন্নত। এখানে প্রায় সব ধরনের কাজের সুযোগ রয়েছে। 
আপনার যদি দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা থাকে, তবে আপনি মাসে প্রায় ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন। এই কাজের জন্য বিভিন্ন ধরনের ভিসা রয়েছে। 

ক্লিনার ভিসা, ড্রাইভিং ভিসা, কিংবা হোটেল ও রেস্টুরেন্ট ভিসার মাধ্যমে কাতার যেতে প্রায় ৭ লাখ টাকা খরচ হতে পারে। আর যদি কোম্পানির ভিসার মাধ্যমে আসেন, তবে এক্ষেত্রে খরচ প্রায় ৮ লাখ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।

উপরে উল্লেখিত ভিসাগুলো ছাড়াও আরও অনেক ধরনের ভিসা রয়েছে। সময়ের সাথে সাথে ভিসার দাম এবং আনুষঙ্গিক খরচ পরিবর্তন হতে থাকে। এই কারণে কাতার যাওয়ার মোট খরচও কম বা বেশি হতে পারে। এছাড়া, ভিসা আবেদনের ধরন এবং আপনি কীভাবে নিয়োগ পাচ্ছেন, তার ওপরেও কাতার যাওয়ার জন্য আপনার কত টাকা খরচ হবে তা নির্ভর করে।

বিজনেসের কাজে কাতারে যেতে কত টাকা লাগে

ব্যবসায়ীদের জন্য কাতারে বিজনেস ভিসা চালু আছে। এই ভিসার মাধ্যমে যে কেউ কাতারে যেকোনো ব্যবসায়িক কাজে যেতে পারবেন। ব্যবসায়িক কাজে কাতারে যাওয়ার জন্য সাধারণত ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা খরচ হয়। তবে ইউরোপের দেশগুলোর ক্ষেত্রে এই ভিসার মূল্য আরও বেশি হয়ে থাকে।

বেশিরভাগ বিজনেস ভিসার জন্য বেসরকারি সংস্থা বা এজেন্সির মাধ্যমে আবেদন করতে হয়, যার কারণে ভিসার দাম তুলনামূলকভাবে অনেকটাই বেশি হয়।

সরকারি ভাবে কাতারে যেতে কত টাকা লাগে

সরকারিভাবে কাতারে যাওয়া সবচেয়ে কম খরচের একটি উপায়। সরকারিভাবে কাতার আসতে মাত্র ২ থেকে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত লাগতে পারে। প্রায় সব সময়ই সরকারি ভিসায় কর্মী নিয়োগের প্রক্রিয়া চলমান থাকে। বাংলাদেশ বোয়েসেল এর অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে এই ধরনের ভিসার সার্কুলার প্রকাশ করা হয়।

কাজের ভিসার জন্য আবেদনকারীর প্রয়োজনীয় যোগ্যতা, দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা থাকা আবশ্যক। এছাড়া, সরকারি কর্মচারীরা টুরিস্ট ভিসায় সরকারিভাবেই কাতারে ভ্রমণ করতে পারেন।

কাতার বেতন কত ২০২৬

বর্তমানে যারা কাজের জন্য কাতার যেতে আগ্রহী, তাদের মধ্যে বেশিরভাগ মানুষই কাতারে বেতনের বিষয়ে জানতে চান। তাই এখন আপনাদের জানানো হবে কাতারে বেতনের পরিমাণ কেমন। 
বর্তমানে আপনি যে ভিসাতেই কাতারে যান না কেন, সেখানে সর্বনিম্ন ৩০ হাজার থেকে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত বেতন পেতে পারেন। তবে, আপনি যদি আরও বেশি টাকা উপার্জন করতে চান, তবে অবশ্যই আপনার কাজের ওপর সুনির্দিষ্ট অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

কাতারে সর্বনিম্ন বেতন কত

কাতার সরকার কর্তৃক কাজের জন্য একটি সর্বনিম্ন বেতন কাঠামো নির্ধারিত আছে।  তবে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় প্রবাসীরা এই সর্বনিম্ন বেতন কাঠামো অনুযায়ী বেতন পান না।
কাতারে সর্বনিম্ন বেতন কত
এর কারণ হলো, দেশটির নাগরিকরাই সাধারণত সর্বনিম্ন বেতন কাঠামো অনুসারে বেতন পেয়ে থাকেন। বর্তমানে কাতারে সর্বনিম্ন বেতন প্রায় ১০০০ রিয়াল, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় রূপান্তর করলে প্রায় ৩৩ হাজার টাকা হয়।

কাতারের শ্রম আইন অনুযায়ী, শ্রমিকদের সপ্তাহে ৪৮ ঘণ্টার বেশি কাজ করতে বাধ্য করা যাবে না। যদি কর্মীদের ওভারটাইম কাজ করতে হয়, তবে প্রতি ঘণ্টার জন্য ১.৫ গুণ বেশি টাকা পরিশোধ করার নিয়ম রয়েছে।

কাতারে সর্বোচ্চ বেতন কত

কাতারে কোন কাজের চাহিদা বেশি এবং কোন কাজের বেতন কেমন, সেই আলোচনায় এখন আমরা জানবো কাতারে কোন কাজের বেতন সবচেয়ে বেশি। কাতার একটি উন্নত রাষ্ট্র, যেখানে শ্রমিকদের কাজগুলো প্রায় সবই বাইরের লোক দিয়ে করানো হয়। এই কাজগুলো করার ক্ষেত্রে দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে বেতনের কম-বেশি হয়।

বিভিন্ন গবেষণার ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে যে, কাতারে ইলেকট্রিশিয়ান, প্লাম্বার, ইলেকট্রনিক্স, ড্রাইভিং এবং আইটি ইঞ্জিনিয়ারিং কাজের চাহিদা অনেক বেশি। এই কাজগুলোতে তুলনামূলকভাবে বেশি বেতন দেওয়া হয়। এই কাজগুলোতে যদি ভালো অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা থাকে, তাহলে ক্ষেত্রবিশেষে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত বেতন দেওয়া হতে পারে।

কাতার কোম্পানি ভিসা বেতন কত

বাংলাদেশে এমন হাজার হাজার মানুষ আছেন যারা কাতারে কোম্পানি ভিসার মাধ্যমে কাজের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। কাতারের কোম্পানিগুলো সরাসরি শ্রমিক নিয়োগ দিয়ে থাকে।

এছাড়াও, এই কোম্পানিগুলোতে প্রতি মাসের বেতন নির্দিষ্টভাবে নির্ধারণ করা থাকে। বর্তমানে আপনি যদি কাতারে কোম্পানি ভিসায় কাজের জন্য যান, তাহলে প্রতি মাসে ৫০ হাজার থেকে ৭০ হাজার টাকা পর্যন্ত বেতন পেতে পারেন।

কাতার রেস্টুরেন্ট ভিসা বেতন কত

অনেকের মনেই প্রশ্ন থাকে যে রেস্টুরেন্ট ভিসার বেতন কেমন হতে পারে। কারণ, যখন একজন মানুষ বাংলাদেশ থেকে বিদেশে কাজের জন্য রওনা হন, তখন তিনি যে কাজে যোগ দিতে যাচ্ছেন, সেটির বেতন কত হতে পারে এই জিজ্ঞাসা স্বাভাবিকভাবেই আসে। 
আসলে, এভাবে সুনির্দিষ্টভাবে বেতনের পরিমাণ বলা সম্ভব হয় না। তবে, আপনাকে যে দূতাবাস নিয়ে যাবে, তারা বেতনের একটি ধারণা দিতে পারে যে তা কেমন হতে পারে। কিন্তু আপনি যে এজেন্সির মাধ্যমে যাচ্ছেন, সেই এজেন্সি আপনার বেতনের একটি ধারণা দিতে পারে যে তা কত টাকা হতে পারে।

অথবা, আপনি যদি কোনো দালালের মাধ্যমে যান, তাহলে সেই দালালও আপনাকে রেস্টুরেন্টের কাজের বেতন কত হতে পারে সে সম্পর্কে একটা ধারণা দিতে পারে।। নতুন অবস্থায় আপনার সর্বনিম্ন বেতন কমপক্ষে ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা পর্যন্ত হতে পারে। তবে এই বেতন কিন্তু নির্দিষ্ট বা 'ফিক্সড' নয়।

আপনি যদি একই কোম্পানিতে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করেন, তাহলে আপনার বেতন ধীরে ধীরে বাড়তে পারে। যখন আপনি একটি কোম্পানিতে দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করবেন, তখন আপনি সেই কোম্পানির একজন বিশ্বস্ত কর্মী হিসেবে গণ্য হবেন এবং সব কিছু ভালোভাবে জানতে ও বুঝতে পারবেন। তখন আপনার বেতন বেড়ে ১ লক্ষ থেকে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত হতে পারে।

এজন্য, আপনার বেতন আসলে কত হবে তা নির্দিষ্ট করে বলা যায় না। মূলত, আপনি নতুন অবস্থায় যোগ দিলে আপনার কাজের ধরন দেখেই কোম্পানি আপনার বেতন নির্ধারণ করবে। আপনার কাজের মান যদি ভালো হয়, তাহলে আপনি অবশ্যই বেশি বেতন পাবেন।

কাতার ড্রাইভিং ভিসা বেতন কত

বর্তমানে বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ ভালো সুযোগ-সুবিধার কারণে কাতার ড্রাইভিং ভিসায় যেতে আগ্রহী। তবে তারা কাতার ড্রাইভিং ভিসার বেতন সম্পর্কে জানেন না। তাই এখন আপনাদের জানানো হবে কাতার ড্রাইভিং ভিসার বেতন কত বা বেতনের পরিমাণ কেমন।

বর্তমানে আপনি যদি কাতারে ড্রাইভিং ভিসায় কাজের জন্য যান, তাহলে প্রতি মাসে ৭০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বেতন পেতে পারেন।

কাতারে ক্লিনার ভিসার বেতন কত

কাতারে কোন কাজের চাহিদা বেশি ও কোন কাজের বেতন কত এই শিরোনামের আলোচনায় এখন আমরা জানবো কাতারে ক্লিনার ভিসার বেতন কত অর্থাৎ কাতারে একজন ক্লিনার কর্মী কত টাকা বেতন পান, সে সম্পর্কে।

কাতারে অন্যান্য কাজের তুলনায় ক্লিনারের কাজের চাহিদা একেবারে কম নয়, তবে বেতন অনেকটাই কম। কাতারে একজন ক্লিনারের বেতন সাধারণত ১৩০০ রিয়াল থেকে ২০০০ রিয়াল পর্যন্ত হয়, যা বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় ৪২ হাজার টাকা থেকে ৬৫ হাজার টাকার সমান।

কাতারে কোন কাজের বেতন কত

বর্তমানে কাতারে বিভিন্ন ধরনের কাজের ভিসা চালু আছে। তবে প্রবাসীরা সাধারণত তাদের কাজের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী ভিসা নিয়ে থাকেন। কাতারে অনেক ধরনের কাজের চাহিদা থাকলেও, একেক ধরনের কাজের বেতন একেক রকমভাবে নির্ধারিত থাকে। 
তাই আপনারা যারা কাতারে কাজের উদ্দেশ্যে যেতে চাইছেন, তারা অবশ্যই কাতারে কোন কাজের বেতন কত সে বিষয়ে একটি স্পষ্ট ধারণা নিয়ে রাখবেন। এতে করে পরবর্তী সময়ে কোনো সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে না। আবার অনেকেই আছেন যারা কাতারে কাজের জন্য যেতে চান কিন্তু সেখানে কোন কাজের বেতন কত, সে সম্পর্কে তাদের কোনো ধারণা নেই।

এই কারণেই অনেকে কাতারে কোন কাজের বেতন কত তা জানার জন্য অনলাইনে খোঁজখবর করে থাকেন। তাই সবার সুবিধার জন্য কাতারে কোন কাজের বেতন কত, সে বিষয়ে বিস্তারিতভাবে আপনাদের জানানোর চেষ্টা করব। প্রথমে বলে রাখা ভালো যে কাতারের টাকাকে রিয়াল বলা হয়।

এখন আপনাদের জেনে নেওয়া প্রয়োজন যে কাতারের এক টাকা (এক রিয়াল) বাংলাদেশি টাকায় কত টাকা। কারণ এতে আপনারা খুব সহজে বুঝতে পারবেন কাতারে কোন কাজের বেতন কেমন। বর্তমানে কাতারের ১ রিয়াল = বাংলাদেশি টাকায় ২৯.৮৯ টাকা।

এবার তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক কাতারে কোন কাজের বেতন কত বা কোন কাজের বেতন কেমন।

সাধারণত কিছু নির্দিষ্ট কাজের (যেমন ক্লিনার, ওয়েটার ইত্যাদি) ক্ষেত্রে বর্তমানে বেতনের পরিমাণ কাতারি রিয়েলে সর্বনিম্ন ১,২০০ রিয়েল থেকে সর্বোচ্চ ১,৮০০ রিয়েল পর্যন্ত হয়ে থাকে। যা বাংলাদেশি টাকায় হিসাব করলে সর্বনিম্ন ৩৫,০০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫৫,০০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।

অন্যদিকে, ইলেকট্রিশিয়ান, ইলেকট্রনিক্স, ড্রাইভিং, মেকানিক্যাল, আইটি ইঞ্জিনিয়ার এবং ফায়ার সার্ভিস ম্যানের মতো কাজগুলোর ক্ষেত্রে বেতন কাতারি রিয়েলে সর্বনিম্ন ২,৫০০ রিয়েল থেকে সর্বোচ্চ ৩,৫০০ রিয়েল পর্যন্ত হয়। যা বাংলাদেশি টাকায় হিসাব করলে কাজের বেতন সর্বনিম্ন ৭৫,০০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১,০৫,০০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।

কাতারে কোন কাজের বেতন বেশি?

কাতারে বাঙালি প্রবাসীরা বিভিন্ন ধরনের কাজ করে থাকেন। তবে দক্ষতা-ভিত্তিক কাজগুলোই প্রবাসীরা সবচেয়ে বেশি করে থাকেন।

বর্তমানে কাতারে ড্রাইভিং, কনস্ট্রাকশন, সিকিউরিটি গার্ড, ক্লিনার, হাউজকিপিং, ইলেকট্রনিক এবং প্লাম্বিং ইত্যাদি কাজের বেতন তুলনামূলকভাবে বেশি হয়ে থাকে।

কাতারে কোন কাজের চাহিদা বেশি

বর্তমানে কাতারে অনেক ধরনের কাজের চাহিদা রয়েছে। তবে যারা কাতারে কাজের উদ্দেশ্যে যেতে চাইছেন, তাদের অনেকেরই কাতারে কোন কাজের চাহিদা সবচেয়ে বেশি, সে বিষয়ে কোনো ধারণা থাকে না। কিন্তু আপনারা যারা কাতারে কাজের জন্য যেতে চাচ্ছেন বা যাওয়ার চিন্তা-ভাবনা করছেন, তাদের অবশ্যই কাতারে কোন কাজের চাহিদা বেশি, সে সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নেওয়া উচিত।
কাতারে কোন কাজের চাহিদা বেশি
কারণ কাতারে একেক ধরনের কাজে একেক রকমভাবে বেতন নির্ধারিত থাকে। তাই আপনারা যারা কাতারে কাজের উদ্দেশ্যে যেতে ইচ্ছুক, তারা অবশ্যই কাতারে কোন কাজের চাহিদা বেশি সে বিষয়ে ধারণা নিয়ে বাংলাদেশে থেকেই সেই কাজের ওপর অভিজ্ঞতা অর্জন করে তারপর কাতারে কাজের জন্য যাবেন।

কারণ এতে আপনারা খুব অল্প সময়ে সফলতা লাভ করতে পারবেন এবং প্রতি মাসে বেশি টাকা আয় করতে সক্ষম হবেন। এই কারণে অনেকে আছেন যারা কাতারে কোন কাজের চাহিদা বেশি, সেই বিষয়ে জানার জন্য অনলাইনে খোঁজখবর করেন।

তাই সবার সুবিধার জন্য কাতারে কোন কাজগুলোর চাহিদা সবচেয়ে বেশি, সেগুলো নিচে সংক্ষিপ্ত আকারে উল্লেখ করে দেওয়া হলো। আর দেরি না করে চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক কাতারে কোন কাজের চাহিদা বেশিঃ
  • ইলেকট্রিশিয়ানের কাজ।
  • ইলেকট্রনিক্সের কাজ।
  • ড্রাইভিং এর কাজ।
  • মেকানিক্যালের কাজ।
  • আইটি ইঞ্জিনিয়ারের কাজ।
  • ফায়ার সার্ভিস ম্যানের কাজ।
  • রোড ক্লিনারের কাজ।
  • রেস্টুরেন্ট ক্লিনারের কাজ।
  • গ্লাস ক্লিনারের কাজ।
  • মসজিদ ক্লিনারের কাজ।
  • মেডিকেল ক্লিনারের কাজ।
  • ফুড প্যাকেজিং এর কাজ।
  • ফ্যাক্টরির কাজ ইত্যাদি।

কাতারে বর্তমান কাজের অবস্থা

২০২৬ সালের কাতার রেস্টুরেন্ট ভিসার প্রসঙ্গে বলতে গেলে, বর্তমানে কাতারে প্রচুর কাজের সুযোগ রয়েছে, তবে বেশিরভাগ কাজই হচ্ছে কোম্পানির ভিসার অধীনে। আপনি যদি 'ফ্রি ভিসা' নিয়ে যান, তবে আপনার জন্য কাজ খুঁজে পাওয়াটা কিছুটা কঠিন হতে পারে।

বর্তমান সময়ে এমনটা দেখা যাচ্ছে যে, কোনো কোম্পানির যদি কাজের জন্য লোকের প্রয়োজন হয়, তবে তারা সরাসরি বাংলাদেশ থেকে লোক নিয়োগ করে নিয়ে আসছে। শুধু বাংলাদেশ থেকেই নয়, তারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকেও কর্মী নিয়ে থাকে।

আপনি যদি নতুন অবস্থায় কাতার যেতে চান, তাহলে অবশ্যই একটি নির্দিষ্ট কোম্পানি বেছে নিয়ে যাবেন। এতে আপনার কাজের কোনো সমস্যা হবে না এবং আপনি সেই কোম্পানিতে দীর্ঘ সময় কাজ করতে পারবেন। কিন্তু আপনি যদি ফ্রি বিষয় দিয়ে থাকেন তাহলে কিন্তু আপনার কাজ পাওয়া অনেকটা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

তাই অবশ্যই মাথায় রাখবেন আপনি যদি নতুন অবস্থায় কাতার প্রবাসী হওয়ার চিন্তা ভাবনা করে থাকেন তাহলে ভালো একটি এজেন্সি ধরে ভালো একটি কোম্পানিতে যাওয়ার চিন্তাভাবনা করবেন এদের আপনার কাজের কোন সমস্যা থাকবে না।

সাধারণ প্রশ্ন ও উত্তর (FAQs)

প্রশ্ন: কাতার কাজের ভিসা সংগ্রহ করতে সাধারণত কত টাকা খরচ হতে পারে?
উতর: কাজের ভিসার ক্যাটাগরির উপর নির্ভর করে সাধারণত ৫ লক্ষ থেকে ৬ লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে বলে জানা যায়।

প্রশ্ন: কাতারে একজন শ্রমিকের মাসিক বেতন কেমন হতে পারে?
উতর: শ্রমিকের বেতন সাধারণত ১,০০০ থেকে ১,৫০০ কাতারি রিয়ালের আশেপাশে হতে পারে।

প্রশ্ন: কাতারে উচ্চ বেতনের কিছু কাজের উদাহরণ কী?
উতর: বিশেষ দক্ষতাসম্পন্ন পেশা যেমন: ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, মেরিন সায়েন্স কনসালটেন্ট, নেভিগেটর এবং অন্যান্য উচ্চ প্রশিক্ষিত পেশাদারদের বেতন অনেক বেশি হয়ে থাকে।

প্রশ্ন: কাতারে কি ফ্রি ভিসায় কাজ করা বৈধ?
উতর: না, কাতারের আইন অনুযায়ী ভিসা ক্রয়-বিক্রয় বা ফ্রি ভিসায় কাজ করা সম্পূর্ণ অবৈধ এবং আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।

প্রশ্ন: কাতারে যাওয়ার আগে কর্মীর কী কী বিষয় নিশ্চিত হওয়া উচিত?
উতর: কর্মীকে অবশ্যই কোম্পানী/নিয়োগকর্তা কর্তৃক কাজ ও বেতন সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে এবং স্বাক্ষরিত শ্রম চুক্তিপত্রের একটি কপি নিজের কাছে সংরক্ষণ করতে হবে।

প্রশ্ন: দালাল বা এজেন্সির মাধ্যমে অতিরিক্ত টাকা খরচ করে কাতার গেলে কি কোনো ঝুঁকি আছে?
উতর: হ্যাঁ, অতিরিক্ত টাকা খরচ করলে এর দায়ভার নিজেকে বহন করতে হবে এবং অবৈধভাবে কাজ করলে আইনি সহায়তা পাওয়ার সুযোগ সীমিত হয়ে যায়।

প্রশ্ন: কাতারে আসার পর যদি নিয়োগকর্তা চুক্তি অনুযায়ী বেতন-ভাতা পরিশোধ না করে, তখন করণীয় কী?
উতর: এই ধরনের সমস্যা হলে চুক্তির কপি নিয়ে কাতারস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস বা শ্রম উইংয়ের সাথে যোগাযোগ করে আইনি সহায়তা নেওয়া যেতে পারে।

প্রশ্ন: বাংলাদেশ থেকে কাতারে কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে সরকারের কোনো বিশেষ উদ্যোগ আছে কি?
উতর: হ্যাঁ, পূর্বে বাংলাদেশ সরকার কর্মীদের ন্যূনতম মাসিক বেতন বাড়িয়ে ২৫ হাজার টাকা করার প্রস্তাব দিয়েছিল এবং কাতার সরকার বিপুল সংখ্যক কর্মী নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। BOESL-এর মতো সরকারি এজেন্সির মাধ্যমেও কর্মী নিয়োগ দেওয়া হয়।

লেখকের শেষ মতামত

কাতারে যাওয়ার আগে অবশ্যই আপনার ভিসার ধরন, খরচ এবং কাজের বেতনের বিষয়ে একটি স্পষ্ট ধারণা নিয়ে যেতে হবে। সরকারি সুযোগ পেলে খরচ সর্বনিম্ন ২-৩ লাখ টাকায় থাকতে পারে। আর বেসরকারিভাবে গেলে কাজের ভিসায় সর্বনিম্ন বেতন ৩৩,০০০ টাকা থেকে শুরু হলেও, দক্ষতা থাকলে সহজেই ১ লাখ টাকার বেশি আয় করা সম্ভব।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আরিফুল প্লাস এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url